দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বোনের জানাজায় অংশ নিয়েছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১২ আগস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে মুঠোফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হওয়ার পর গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে আছেন।

শুক্রবার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেন বরগুনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম। এর আগে শুক্রবার ভোররাতে বার্ধক্যজনিত কারণে জাহাঙ্গীর কবিরের বড় বোন আনোয়ারা বেগম (৮৪) মারা যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর কবিরের বড় বোনের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন জাহাঙ্গীর কবিরের এক স্বজন। পরে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে জানাজায় অংশ নিতে জাহাঙ্গীর কবিরকে দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেন জেলা প্রশাসক। এরপর বেলা দেড়টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় বরগুনা কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তাঁকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়।

বরগুনা কারাগারের জেল সুপার মো.

আমজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জাহাঙ্গীর কবিরকে কারাবিধি অনুযায়ী দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে বেলা দেড়টার জাহাঙ্গীর কবির কারাগার থেকে বের হয়ে পৌনে দুইটার দিকে কারাগারে ফিরে আসেন। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।

পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”

উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ