‘ডন-থ্রি’ সিনেমা থেকে কিয়ারা সরে দাঁড়ানোর পর নায়িকা নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এ নির্মাতারা। অবশেষে তাদের নজর পড়েছে ‘বান্টি অউর বাবলি-টু’ সিনেমার অভিনেত্রী শর্বরী ওয়াঘ। তরুণ এ অভিনেত্রীকে নতুন করে ভাবা শুরু করেছেন পরিচালক ফারহান আখতার। 

‘ডন-থ্রি’ সিনেমায় শর্বরী থাকবেন, এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে পরিচালকের কাছে। তারপরও কানাঘুষা চলছে অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননকে নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ‘ডন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম দুই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। কিন্তু ‘ডন-থ্রি’তে শাহরুখের বদলে রণবীর সিংকে নেওয়ার বিষয়টি অনেকে মেনে নিতে পারনেনি।

 তবে প্রিয়াঙ্কার বদলে কিয়ারাকে অভিনেত্রী হিসেবে নির্বাচন করা নিয়ে খুব একটা শোরগোল করেননি নেটিজেনরা। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে সিনেমা থেকে কিয়ারার সরে দাঁড়ানোয় নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কিয়ারার বদলে কে হবেন ‘ডন-থ্রি’ সিনেমার নায়িকা? এই প্রশ্নই এখন অনেকের মুখে। প্রযোজনাসূত্র আভাস দিয়েছে, নায়িকা হিসেবে কৃতি শ্যাননের কথা ভাবা হচ্ছে। কারণ শুরুতে ‘ডন-থ্রি’ সিনেমায় প্রিয়াঙ্কার চরিত্রটির জন্য কৃতিকেই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু শেষমেষ তাকে বাদ দিয়ে কিয়ারাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করা হয়। 

তাই কিয়ারা যখন অভিনয় করছেন না, তখন কৃতি সেই সুযোগটা পেতে পারেন। কিন্তু প্রযোজনাসূত্র এমন আভাস দিলেও পরিচালক নজর শর্বরীর দিকেই। কারণ, ফারহান তাঁর গল্পের চরিত্রগুলো যেভাবে উপস্থাপন করতে চান, তার জন্য শর্বরীই পারফেক্ট বলে মনে করেন তিনি।  
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের ছুটিতে ৯৯৯-এ ভুয়া কলই বেশি

ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের ছুটিতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে কল আসে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৩টি। এর মধ্যে ভুয়া কল ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৪১৬। সেবা নেওয়ার মানসিকতা থেকে কল আসে ৪৬ শতাংশ। বাকি ৫৬ শতাংশই ভুয়া। সে জন্য ভোগান্তি হয়েছে পুলিশের। যেসব কল আসে, তার মধ্যে বেশি ছিল মারামারি-সংঘর্ষের ঘটনার। এ ছাড়া মাইকে উচ্চ শব্দে গানবাজনা, হামলা, দুর্ঘটনা ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় সহায়তা চেয়েও কল আসে।

জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার গতকাল বুধবার  এ বিষয়ে বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি সেবা সরবরাহ করা হয়েছে। ঈদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকলেও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কোনো ছুটি থাকে না। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা এই সেবা খোলা থাকে। এবার বিভিন্ন সহায়তার জন্য কল আসে ২ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৩টি। তিনি বলেন, প্রতি মুহূর্তে ১০০টি কল রিসিভ করার সক্ষমতা রয়েছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স-সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী অন্য জরুরি সেবাও দেওয়া হয়েছে। এবার ঈদে জরুরি সেবা প্রদানযোগ্য ফোনকল ৪৬ শতাংশ এবং সেবা প্রদানযোগ্য নয়– এমন কল ছিল ৫৬ শতাংশ। আগের তুলনায় মানুষ এখন ৯৯৯ থেকে জরুরি সেবা বেশি নিচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।

৯ দিনে যেসব অভিযোগে কল

ঈদের ছুটিতে ১০টি সমস্যার তথ্য জানিয়ে ৯৯৯-এ আসা কলের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মারামারি-সংক্রান্ত কল আসে ৩ হাজার ৭৬৮টি, এর পর শব্দদূষণের প্রতিকার চেয়ে ১ হাজার ২৩৩টি, অগ্নিকাণ্ডের ১ হাজার ২২২টি, জরুরি চিকিৎসাসেবার ৯৪৪টি, অবরুদ্ধ বা আটকে রাখার ঘটনায় ৯০৩টি, সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ৭৭৮টি, নারী নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে ৭৩৭টি, দুর্ঘটনায় ৫৭১টি, চুরি-সংক্রান্ত ৫৩৩টি এবং জমিজমা নিয়ে ৫০০টি।

৯ দিনে যত কল

২৮ মার্চ কলের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮টি, ২৯ মার্চ ২৭ হাজার ৮০৮টি, ৩০ মার্চ ২৫ হাজার ৭৫৫টি, ৩১ মার্চ ২৩ হাজার ৪৯৮টি, ১ এপ্রিল ২৫ হাজার ৬৫২টি, ২ এপ্রিল ২৬ হাজার ৮১টি, ৩ এপ্রিল ২৮ হাজার ৪৬০টি, ৪ এপ্রিল ২৭ হাজার ৩৮০টি এবং ছুটির সর্বশেষ দিন ৫ এপ্রিল কলের সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৯৯১টি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ