নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুবিধার্থে ৬ মাসের আইন করার দাবি জানিয়েছে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এবং ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক নারী শ্রমিক সমাবেশ ও র‍্যালি থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিকের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সংস্কার কমিশনে শ্রম আইন সংশোধনের খসড়াটি যে চূড়ান্ত করা হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে শ্রমিকবান্ধব না। মাতৃত্বকালীন ছুটি সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ৬ মাস, পোশাক খাতের জন্য ৪ মাস। আবার অনানুষ্ঠানিক খাতে ছুটির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে শ্রমিকের সংজ্ঞা সঠিকভাবে বিবেচনা করা হয় না। আমরা চাই, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি সবার জন্য এক হোক।

তারা আরও বলেন, আইএলও কনভেনশন ১৮৯ ও ১৯০, শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ তহবিল, গ্র্যাচুইটি, স্বাধীনভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, চাকরির নিশ্চয়তা, নিরাপদ কর্মস্থল, কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতকালে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ দায় নিচ্ছে না। শ্রম আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে শ্রমিকপক্ষের মতামত ও লিখিত প্রস্তাবনাকেও আমলে নেওয়া হয়নি। আমরা চাই, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অর্জনকে সম্মানিত করে লিঙ্গ সমতা ত্বরান্বিত করা হোক।

এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম, গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো.

ইলিয়াস, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ও নারী কমিটির সভাপতি রোজিনা আক্তার সুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক ও নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি সহ আরও অনেকে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রোগী ভর্তি শুরু 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বল্প পরিসরে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) থেকে হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৯০টি শয্যায় আবাসিক কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন সকাল ১১টায় উল্লেখযোগ্য আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই রোগী ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রিজওয়ানুর রহমান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

ঈদের ছুটিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে ১৮৫ রোগীর মৃত্যু

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ 

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকূপা থেকে আসা আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, “গত শুক্রবার আমি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। এরপর আমাকে এখানে পাঠানো হয়। এখানে চিকিৎসা ভালো পাবো বলে মনে হচ্ছে। ওষুধ ও খাবার বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে।” 

উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ারুল কবীর বলেন, “স্বল্প পরিসরে মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৪৫টি করে মোট ৯০ শয্যায় আবাসিক কার্যক্রম শুরু হলো। আশা করছি, পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গরূপে হাসপাতালটি চালু করতে পারব।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রিজওয়ানুর রহমান বলেন, “একটা বড় কাজ শুরু হলো। ৫০০ শয্যার হাসপাতালটি অন্তত শুরু হলো। ধীরে ধীরে হাসপাতালটিকে পূর্ণাঙ্গরূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা চলমান থাকবে। রোগীদের সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ