নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসের আইন করার দাবি
Published: 7th, March 2025 GMT
নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুবিধার্থে ৬ মাসের আইন করার দাবি জানিয়েছে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এবং ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক নারী শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালি থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিকের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সংস্কার কমিশনে শ্রম আইন সংশোধনের খসড়াটি যে চূড়ান্ত করা হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে শ্রমিকবান্ধব না। মাতৃত্বকালীন ছুটি সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ৬ মাস, পোশাক খাতের জন্য ৪ মাস। আবার অনানুষ্ঠানিক খাতে ছুটির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে শ্রমিকের সংজ্ঞা সঠিকভাবে বিবেচনা করা হয় না। আমরা চাই, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি সবার জন্য এক হোক।
তারা আরও বলেন, আইএলও কনভেনশন ১৮৯ ও ১৯০, শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ তহবিল, গ্র্যাচুইটি, স্বাধীনভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, চাকরির নিশ্চয়তা, নিরাপদ কর্মস্থল, কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতকালে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ দায় নিচ্ছে না। শ্রম আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে শ্রমিকপক্ষের মতামত ও লিখিত প্রস্তাবনাকেও আমলে নেওয়া হয়নি। আমরা চাই, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অর্জনকে সম্মানিত করে লিঙ্গ সমতা ত্বরান্বিত করা হোক।
এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম, গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আবু সাঈদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর হলের আসন বাতিল
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বহিষ্কৃত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর হলের আসন বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার রাতে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
সিট বাতিল হওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মানিক চন্দ্র সেন, এস এম লাবু ইসলাম, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মেহেদী হাসান মিরাজ এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সেজান আহম্মেদ। তাঁরা প্রত্যেকেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হলের আবাসিক ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভা, শৃঙ্খলা বোর্ড এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হলের নীতিমালা-২০১৫ ও প্রভোস্ট বডির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে।
শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড, সিন্ডিকেট এবং হল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে এই চার শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী তিন মাসের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সিটও বাতিল হতে পারে।