নতুন আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) কারা অর্থ দিচ্ছেন এবং ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিদিন তিন লাখ টাকার ইফতার আয়োজনের অর্থ কোথায় পায়, সেই প্রশ্ন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রদলের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, দেশের কিছু ধনী ব্যক্তি এনসিপিকে অর্থায়ন করেছেন বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান। অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক (নুরুল ইসলাম) গণমাধ্যমকে তাদের ইফতার কর্মসূচিতে দৈনিক তিন লাখ টাকা ব্যয়ের কথা জানিয়েছেন।

নতুন আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) কারা অর্থ দিচ্ছেন এবং ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিদিন তিন লাখ টাকার ইফতার আয়োজনের অর্থ কোথায় পায়, সেই প্রশ্ন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রদলের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, দেশের কিছু ধনী ব্যক্তি এনসিপিকে অর্থায়ন করেছেন বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান। অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক (নুরুল ইসলাম) গণমাধ্যমকে তাদের ইফতার কর্মসূচিতে দৈনিক তিন লাখ টাকা ব্যয়ের কথা জানিয়েছেন।

নতুন আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) কারা অর্থ দিচ্ছেন এবং ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিদিন তিন লাখ টাকার ইফতার আয়োজনের অর্থ কোথায় পায়, সেই প্রশ্ন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রদলের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, দেশের কিছু ধনী ব্যক্তি এনসিপিকে অর্থায়ন করেছেন বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান। অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক (নুরুল ইসলাম) গণমাধ্যমকে তাদের ইফতার কর্মসূচিতে দৈনিক তিন লাখ টাকা ব্যয়ের কথা জানিয়েছেন।

এ দুই প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতারা প্রশ্ন তুলে বলেন, দেশের কোন ধনী ব্যক্তিরা এনসিপিকে অর্থায়ন করেছেন এবং সেই অর্থায়নের বিপরীতে ওই ধনী ব্যক্তিরা কী ধরনের প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন? আর দৈনিক তিন লাখ টাকা ব্যয় হলে ৩০ দিনের ইফতার আয়োজনে শিবিরের অন্তত ৯০ লাখ টাকা লাগবে। সাধারণ একটি শিক্ষার্থীদের সংগঠন হিসেবে শিবির এ টাকা কীভাবে উপার্জন করেছে, কিংবা ওই টাকার উৎস কী?

প্রসঙ্গত গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র–তরুণদের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো.

নাহিদ ইসলামের একটি সাক্ষাৎকার গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাতে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশজুড়ে অনেক ‘সম্পদশালী’ (অ্যাফ্লুয়েন্ট) ব্যক্তি তাঁদের দলকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করছেন।

ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা গণ-অভ্যুত্থানের মালিকানা একক ইজারাদার হিসেবে ছিনতাই করেছেন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলে তারা ইতিমধ্যে একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছেন।’ নতুন এই দলের নেতৃত্ব নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিষয়ে ছাত্রদল নেতা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শিবিরের সাধারণ সম্পাদক গতকাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, তারা প্রতিদিনই ইফতারে তিন লাখ টাকা করে ব্যয় করছেন। যদি তিন লাখ করে প্রতিদিন ব্যয় করা হয়, তাহলে ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করছেন। এই ৯০ লাখ টাকা একটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন হিসেবে কীভাবে উপার্জন করছে, তাদের অর্থায়নের উৎস কী, এটাও জানতে চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫ মার্চ রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সারজিস আলমের সঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরোধের শুরু জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে। দুঃখজনকভাবে সারজিস সেই ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে ছাত্রদলকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাঁর দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত।

ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, সারজিস আলম নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী এবং টোকাই’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন। ছাত্রদল তার ওই ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সারজিসের বক্তব্যে জুলাই–আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন ত্যাগকে মর্যাদাহানি করা হয়েছে। সারজিসের এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।

লিখিত বক্তব্য শেষের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদু্ল্লাহ, মাসুদ খন্দকারসহ আরও দুই-একজন, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ছোটখাটো ঘটনায় ছাত্রদলের নাম জড়ায়। অথচ সব ক্যাম্পাসেই ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতি করছে। দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই গত সাত মাসে ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মীর দ্বারা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সহসভাপতি এইচ এম আবু জাফর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ক ব ল ইসল ম উপস থ ত ছ ল ন ছ ন ছ ত রদল র ছ ত রদল র ন ছ ত রদল র স গণম ধ যমক ন কর ছ ন দল র ন ত এনস প ক

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহের মিনি চিড়িয়াখানায় ভালুকের শরীরে পচন

ময়মনসিংহ নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় একটি ভালুকের শরীরে পচন ধরেছে। ইতিমধ্যে প্রাণীটির পায়ের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভালুকটির শরীর থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। ভালুকটিকে সারিয়ে তোলা কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১৩ সালের দিকে নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের ভেতরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মিনি চিড়িয়াখানাটি গড়ে তোলা হয়। হরিণ, ভালুক, কুমির, হনুমান, গাধা, অজগরসহ ২৪ প্রজাতির প্রাণী ছিল চিড়িয়াখানাটিতে। তবে মেছো বাঘের মৃত্যুর পর বর্তমানে সেখানে ২৩ প্রজাতির প্রাণী আছে। ৩০ টাকায় টিকিট কেটে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানাটিতে ঢুকতে পারেন। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের জায়গা ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে চিড়িখানাটি।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. সিদ্দীকুর রহমান বলেন, সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান তাঁর শ্যালকের নামে চিড়িয়াখানাটির জায়গা বরাদ্দ নিয়েছিলেন। প্রয়োজনে বিনা নোটিশে বরাদ্দ বাতিল করা হবে—এই শর্তে জায়গাটি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চিড়িয়াখানাটির সরঞ্জাম ও প্রাণী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা করেছে।

আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ২ নম্বর প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান গত ৮ মার্চ গ্রেপ্তার হন। চিড়িয়াখানার কর্মী মিজানুর রহমান বলেন, মাহবুবুর রহমান চিড়িয়াখানা দেখাশোনা করতেন। তিনি কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের লোকজন মাঝেমধ্যে আসেন। তবে এখন তাঁর কর্মীরা এটি পরিচালনা করছেন, নিজেদের বেতন নিচ্ছেন।

গতকাল সোমবার বিকেলে সরেজমিনে চিড়িয়াখানায় একটি খাঁচায় দুটি কালো রঙের ভালুক দেখা যায়। এর মধ্যে একটি ভালুকের বা পায়ে পচন ধরেছে। ওই পায়ে হলুদের গুঁড়া ছিটাচ্ছেন এক ব্যক্তি।

চিড়িয়াখানা পরিচালনাকারীদের কাছ থেকে খবরে পেয়ে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল আলম ভালুকটি দেখতে আসেন। অন্য ভালুকটির শরীরেও রোগ ছড়াতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি অসুস্থ ভালুকটিকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।

অধ্যাপক মো. রফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ভালুকের শরীরে সংক্রমণ রয়েছে। অসুস্থ ভালুকটির সেরে ওঠার সম্ভাবনা খুব কম। তারপরও তাঁরা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন।

নগরীর সানকিপাড়ার বাসিন্দা দুবাইপ্রবাসী সাফি আহমেদ গতকাল চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অসুস্থ ভালুকটি দেখে অনেক দর্শনার্থীর মন খারাপ হয়। সেটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া উচিত।

চিড়িয়াখানার ভালুক দুটির বয়স কত, সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি চিড়িয়াখানার কর্মীরা। চিড়িয়াখানার ১০ কর্মীর একজন কামাল হোসেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে প্রাণীগুলোর দেখাশোনা করছেন। কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুটি ভালুকই পুরুষ। এগুলো ২০১৩ সালে ছোট অবস্থায় আনা হয়। তখন ঘর ছোট ছিল। কিন্তু প্রাণীগুলো বড় হলেও ঘর বড় হয়নি। দুটি ভালুক প্রায়ই একে অন্যকে আক্রমণ করে। ১৮–২০ দিন আগে একটি ভালুকের পা কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেছে অন্যটি। তারপর স্থানীয় প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিয়ে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু ভালুকের পায়ের ক্ষত বাড়ছে। তাঁর দাবি, তাঁরা পশু-পাখি নিয়ে কখনো গাফিলতি করেন না। দর্শনার্থীরা এসে এখানে সৌন্দর্য দেখতে চান। তাঁরা চিড়িয়াখানা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করেন।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজিদ বলেন, চিড়িয়াখানার জন্য সিটি করপোরেশন শুধু জমি বরাদ্দ দিয়েছে। সেখানকার প্রাণীর দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের নয়। তিনি বলেন, ভালুকটিকে চিকিৎসা করিয়ে সারিয়ে তুলতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। তারা যদি প্রাণীদের সুরক্ষা দিতে না পারে ও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে, তাহলে ইজারা বাতিলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ