আরেফিন সিদ্দিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই: চিকিৎসক
Published: 7th, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই। তাঁকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ড. সিদ্দিকের মাথায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, তবে মস্তিষ্কে কোনো সাড়া মিলছে না। যে কারণে অস্ত্রোপচার বিলম্বিত হচ্ছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা.
ডা. নজরুল হোসেন বলেন, ড. সিদ্দিককে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিবেদন হাতে এসেছে। সে অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসা চলমান। স্ট্রোক করার কারণে শুরু থেকেই তাঁকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়।
ডা. নজরুল জানান, ড. সিদ্দিকের রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। প্ল্যাটিলেট এক লাখ মাইক্রোলিটারের বেশি। ইউরিন আউটপুট স্বাভাবিক, হার্টের অবস্থাও ভালো। মস্তিষ্কের অবস্থা বৃহস্পতিবার রাতের চেয়ে কিছুটা অবনতি হয়েছে। মাঝে মাঝে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে অস্ত্রোপচার প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না। মস্তিষ্কের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। এর পর ঢাকা ক্লাবের বেকারিতে কেনাকাটা করতে গিয়ে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক তাঁকে বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতা এবং দুই ছেলে আশিক আলী ও মাহতাব আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জন, খাস জমি দখল করে ৫ তলা বাণিজ্যিক হোটেল নির্মাণ এবং সন্দেহজনক লেনদেন বা মানিলন্ডারিংসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।
অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা সপরিবারে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
মোহাম্মদ আলী ছাত্রজীবনে বামপন্থি রাজনীতি করতেন। পরে যোগ দেন যুবদলে। এর পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও ঋণখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান। আয়েশা ফেরদাউস ২০১৪ ও ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে সরকার পতন হলে তিনি পদ হারান।
ঢাকা/মামুন/রফিক