নোয়াখালীর কবিরহাট, সদর ও হাতিয়া উপজেলায় বিএনপির তিন নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে ওই শাস্তির কথা জানানো হয়।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত তিন বিএনপির নেতা হলেন কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ওরফে জসিম, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরুল আমিন ও হাতিয়া উপজেলার তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভির হায়দার ওরফে তান্না।

এর মধ্যে কবিরহাটের বাইটয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আবদুল কাদেরকে চাঁদাবাজি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং বাকি দুজনকে দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জানতে চাইলে দলের তিন নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো.

হারুনুর রশিদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁদের বিরুদ্ধে ওই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এলাকায় স্থানীয় ভূঁইয়ারহাট বাজারে একটি ব্যক্তিগত কার্যালয় নিয়ে বসেন। সেখানে তিনি বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকার বাসিন্দা প্রবাসীদের ডেকে পাঠিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেন।

এর মধ্যে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব থেকে দেশে আসা মহি উদ্দিন নামের এক প্রবাসীকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। ওই প্রবাসী ডাকে সাড়া না দেওয়ায় দুজন লোক (সুজন ও জাহাঙ্গীর) পাঠিয়ে তাঁর (আবদুল কাদের) সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরে আবার ওই দুই ব্যক্তির মাধ্যমে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ১ মার্চ কাদেরের পাঠানো দুই ব্যক্তির কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেন। চাঁদা নেওয়ার ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন প্রবাসী। পরবর্তী সময়ে ওই চাঁদাবাজির বিষয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ করায় মুঠোফোনে ওই প্রবাসীকে গালমন্দ ও নানা হুমকি দেন আবদুল কাদের।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও ধরেননি অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিএনপির সাবেক নেতা আবদুল কাদের। পরে একপর্যায়ে তিনি মুঠোফোন বন্ধ করে দেন। তাই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ক দ র ব এনপ র স ন ব এনপ র প রব স উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইরাস যখন ডিভাইসে

সারাদিনের বেশির ভাগ সময়ই এখন কাটে ডিজিটাল ডিভাইসে। হুটহাট নিজস্ব কিছু ভুলের কারণে ভাইরাস জায়গা নেয় ডিভাইসে। ব্যক্তিগত সব তথ্য হয়ে পড়ে অনিরাপদ। তাৎক্ষণিক ফোন গরম হয়ে যাওয়া, সব কাজে ধীরগতি ছাড়াও বহু ধরনের সমস্যা তখন দৃশ্যমান হয়।
স্মার্টফোন হ্যাক হওয়ার কথা শুনলেই কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। কীভাবে হ্যাক হলো, তার সমাধানে একের পর এক চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। স্মার্টফোনে ভাইরাস অ্যাটাক হওয়া বা হ্যাক হওয়ার প্রধানতম কারণ হলো বিশেষ সচেতনতার ঘাটতি। স্মার্টফোনে বেশির ভাগ ভুলের কারণেই ভাইরাস প্রবেশ করে ডিভাইসে, যা নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই কিছু সতর্কতা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
লিঙ্কে প্রবেশ
ডিজিটাল জগতে মাঝেমধ্যে কিছু অজানা লিঙ্কে  ভুল করে ক্লিক পড়ে যায়। অজানা লিঙ্কে ক্লিক করলেই  বাড়ে বিপদের শঙ্কা। বহু লিঙ্ক থাকে, যা স্মার্টফোনের ফাংশন অকেজো করে দেয়। আবার কখনও এটি স্মার্টফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্যকে অনিরাপদ করে, যা সবার জন্যই বিপজ্জনক। অজানা সব লিঙ্কের মাধ্যমে ডিভাইসে ভাইরাস ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সুনিশ্চিত না হয়ে ভুলেও অজানা লিঙ্কে ক্লিক না করাই শ্রেয়।
ই- মেইলে অফার
হ্যাকাররা নামিদামি সব ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে আকর্ষণীয় অফারে ই- মেইল প্রেরণ করে। ওই সব ই-মেইল ছদ্মবেশে স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রক স্ক্রিপ্ট লুকানো থাকে। ফলে ই-মেইলের অফারে ক্লিক করা মাত্রই স্মার্টফোনে ঢুকে পড়ে ভাইরাস। হ্যাকাররা নতুন রিলিজ হওয়া সিনেমার লিঙ্ক দিয়েও টার্গেটকে ই- মেইল পাঠায়। তাই এমন ই- মেইলে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ