বাগেরহাটে রায়েন্দা-মতিঝিল বিআরটিসি বাস সর্ভিস চালু
Published: 7th, March 2025 GMT
বাগেরহাটের রায়েন্দা থেকে রাজধানীর মতিঝিল পর্যন্ত প্রথমবারের মত সরাসরি বিআরটিসি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত বাস সর্ভিস চালু হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে শহরের খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজার মোড়ে এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগের সচিব মো. তাজুল ইসলাম।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, সচিব ড.
বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, দুটি বাস প্রতিদিন ভোর ৬টা এবং বিকেল ৪টায় রায়েন্দা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পথে মোরেলগঞ্জ, কচুয়ার সাইনবোর্ড, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দেপাড়া বাজার, গোপালগঞ্জ কাউন্টার থাকবে। প্রথমবারের মত রায়েন্দা থেকে ঢাকার মতিঝিল পর্যন্ত রুটে বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এই বাসে ঢাকায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী অর্ধেক ভাড়ায় বাগেরহাট টু ঢাকা যাওয়া আসা করতে পারবেন বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগের সচিব মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “বিআরটিসির উপর মানুষের প্রত্যাশা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বিআইরটিসির প্রশিক্ষণ ইউনিট এখন অনেক শক্তিশালী। বাগেরহাটে প্রশিক্ষণের জন্য সাব ডিপো করা যায় কিনা তা পরিকল্পনায় রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে দুটি বাস চলবে, তবে ভবিষ্যতে বাস বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এই বাসে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী অর্ধেক ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবে।”
ঢাকা/শহিদুল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব আরট স র
এছাড়াও পড়ুন:
এত বছর কেউ আমার কথা ভাবেনি: জিৎ
‘জোশ’, ‘আওয়ারা’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘দুই পৃথিবী’র মতো যেমন বাণিজ্যিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তেমনই দর্শক তাকে দেখেছে ‘অসুর’, ‘রাবণ’, ‘মানুষ’-এর মতো ছকভাঙা চরিত্রে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই প্রযোজকের ভূমিকাও সমানতালে সামাল দিচ্ছেন। দেখতে দেখতে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বাইশ বছর পার করেছেন নায়ক জিৎ।
এবার নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর সুবাদে বলিউডে অভিষেক ঘটল জিতের। এবার তিনি জানালেন, তার কাছে হিন্দির চেয়ে বাংলায় কাজ করাই নাকি বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে জিৎ বলেন, ‘এত বছর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমার কথা ভাবেনি। তবে আমি বরাবরই এখানে কাজ করতে চাইতাম কারণ আমি আদতে হিন্দিভাষী। আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রিতে বাণিজ্যিক সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের ১০-১৫ বছর ধরে বিনোদিত করা অভিনেতাদের মধ্যে খুবই কমই রয়েছেন, যারা ভালো করে হিন্দি বলতে পারেন। বাংলায় কাজ করাটাই আমার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, আমি হিন্দিতে ভাবি।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার একে-অপরকে অনেক দিন ধরেই চিনি। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে একসঙ্গে নিজেদের মতো করে কাজ করেছি। তাই আমাদের সমীকরণ ভীষণই ভালো। ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর জন্য যখন একসঙ্গে কাজ করছিলাম, তখনও মনে হয়নি প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করছি আমরা। সেটা আমাদের এত সহজ সুন্দর সমীকরণের জন্যই সম্ভব হয়েছে।”
হিন্দি ভাষী হলেও বাংলার দর্শকরা জিৎকে মনপ্রাণ ঢেলে আপন করে নিয়েছে। টালিউডে দু’ দশক কাটিয়ে তেইশ সালে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন অভিনেতা।
জিতের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালের ১৪ জুন। হরনাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে টালিউডে ‘বিজয়’ চরিত্রে আত্মপ্রকাশ। সেই ‘সাথী’ বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিসে আজও অন্যতম মাইলফলক হিসেবে রয়ে গেছে। টানা ২৫ সপ্তাহ হাউজফুল শো উপহার দিয়েছিল ‘সাথী’। ফিল্মি কেরিয়ারের গোড়াতেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন জিৎ। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘সাথী’র বিজয় থেকে টালিউডের ‘বস’ হয়ে উঠেছেন জিৎ।
গত ২ দশকে ৫৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ২০টির বেশি ব্লকবাস্টার এবং একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বলিউড ডেবিউ সিরিজ ‘খাকি ২’ চর্চার শিরোনামে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।