স্নাতকের ফল প্রকাশের আগে নিয়োগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
Published: 7th, March 2025 GMT
স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে একজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খানকে সভাপতি করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে একটি অ্যাডহক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) ফরিদ উদ্দিন খানকে সভাপতি করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব আজ এই কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পেশ করবে।
গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে সহকারী প্রোগ্রামার পদে মোমেন খন্দকার অপি নামের একজনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেন উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শেখ সাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়োগ দেওয়ার সময় তাঁর স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি। নিয়োগের প্রায় এক মাস পর ১২ ডিসেম্বর তাঁর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে তিনি সিজিপিএ-৩.
এ নিয়ে গত বুধবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘স্নাতকের ফল প্রকাশের আগেই প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ওই নিয়োগসহ অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে মোট চারজনের নিয়োগ বাতিল ও অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, দু’জন আটক
কুমিল্লার লালমাইয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করার অভিযোগে এনামুল হোসেন বাচ্চু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দু’জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমাই থানার ওসি শাহ আলম।
আটক জাহাঙ্গীর হোসেন পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক। এনামুল হোসেন বাচ্চু পেরুল উত্তর ইউনিয়নের পাড়া দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেরুল উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, তাঁর মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর জাহাঙ্গীর ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে ডাক দিলে মেয়ে বের হয়ে যায়। জাহাঙ্গীর তাকে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ে ঘরে এসে ঘটনা বললে গ্রামের মাতবরদের বিষয়টি জানান তিনি। তাঁর ভাষ্য, গত শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উৎসবপদুয়ার মাতবর জয়নাল আবেদীন ও পাড়া দৌলতপুরের মাতবর এনামুল হোসেন বাচ্চু গ্রামের চায়ের দোকানে বসে জাহাঙ্গীরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও কান ধরে ওঠবস করান। সালিশে রায় কার্যকরের ৫০০০ টাকা তাৎক্ষণিক জয়নালের কাছে জমা দেওয়া হয়।
লালমাই থানার ওসি শাহ আলম সমকালকে জানান, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠক করায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রামের মাতবর এনামুল হোসেন বাচ্চুকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে।