চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে রোববার দুবাইয়ে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। এ ম্যাচের ফল হবে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও পরবর্তী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের জন্য ভারতের প্রস্তুতির ভিত। পাশপাশি এ ম্যাচের ফল ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎও ঠিক করে দিতে পারে। আগামী দুই বছরের পরিকল্পনা মাথায় রেখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) স্থায়ী নেতৃত্ব চায় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুনসর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া হেনরি ফাইনালে অনিশ্চিত৩ ঘণ্টা আগে

সূত্র মারফত সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, টেস্ট ও ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকে রোহিতকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কঠিন আলোচনা হতে পারে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালের অপেক্ষায় থেকে বিসিসিআইও এখনো পর্যন্ত নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করেনি। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া সফর শেষেই এ বিষয়ে বোর্ড ও রোহিতের সঙ্গে আলাপ করেছেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার ও প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। ওই বৈঠকে রোহিতও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন রোডম্যাপ তৈরিতে অসম্মতি জানাননি।

মুম্বাইয়ে বিসিসিআইয়ের সদরদপ্তর.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

অবশেষে সব বই সরবরাহ করল এনসিটিবি

শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু সমস্যার কারণে এবার শিক্ষা বিভাগ থেকে আগেই ধারণা দেওয়া হয়েছিল, এবার বই পেতে কিছুটা দেরি হবে। কিন্তু একপর্যায়ে এই দেরি মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়। বই পেতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হয়। এ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। অবশেষে শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রায় তিন মাসের মাথায় সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য সব বিষয়ের পাঠ্যবই সরবরাহ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

এনসিটিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ মার্চ সর্বশেষ পাঠ্যবই সরবরাহের অনুমোদন বা পিডিআই দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তথ্যমতে, সব শিক্ষার্থীই বই পেয়ে যাওয়ার কথা। না পাওয়ার অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। তবে, কোথাও কোথাও কারিগরি স্তরের নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সব বই পেতে কিছু অসুবিধায় পড়েছে বলে তাঁরা শুনেছেন।

আগামী বছর যাতে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা সব বই পেতে পারে, সে জন্য এখন থেকে বই ছাপানোর কাজের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী, সদস্য (শিক্ষাক্রম), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড

পাঠ্যবই ছাপা হওয়ার পর সেগুলোর মান ঠিক আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করে সরবরাহের আদেশ দেওয়া হয়। সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বই সংগ্রহ করে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করে। ফলে পাঠ্যবই সরবরাহ করার পরে শিক্ষার্থীদের হাতে তা বিতরণ করতে কয়েক দিন লেগে যায়। এবার যখন সর্বশেষ পাঠ্যবই সরবরাহ হয়েছে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল।

পবিত্র রমজান এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লম্বা ছুটি শেষে গতকাল অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এখনো কিছু বিদ্যালয় খোলেনি। গতকাল রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক জানালেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা সব শিক্ষার্থীর জন্য বই পেয়ে তা বিতরণও করেছেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ওবাইদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ছুটি শেষে আগামীকাল বুধবার তাঁদের বিদ্যালয় খুলবে। তবে ইতিমধ্যে তাঁদের বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য সব বিষয়ের বই পেয়েছেন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার গতকাল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তাঁদের বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছাত্রী ৫৩৬ জন। সব শিক্ষার্থীই ঈদের আগে বই পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছুটির কারণে সব বিদ্যালয়ের সব তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

এনসিটিবির সূত্রমতে, চলতি শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ৩৯ কোটির বেশি বই ছাপানো হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) মোট বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার ৬৯২টি। অন্যদিকে প্রাথমিকের মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজারের মতো। এনসিটিবির প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কর্মকর্তারা সবাই পাঠ্যবই সরবরাহ করার তথ্য দিয়েছেন।

দেশে উৎসব করে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। তবে গত দু-তিন বছর শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ১ জানুয়ারি উৎসব করে বই বিতরণ শুরু হলেও দরপত্রসংক্রান্ত জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই দেওয়া যায়নি। সব বই দিতে কিছুদিন দেরি হয়েছিল। কিন্তু এবার বই দিতে মাত্রাতিরিক্ত দেরি হয়েছে।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই ছাপানো হয়। পাঠ্যবই পরিমার্জনের কারণে বই ছাপার কাজ দেরি হবে, তা বোঝাই যাচ্ছিল ছিল। কিন্তু দরপত্র, অনুমোদন, চুক্তির মতো কাজগুলোও যথাসময়ে না করায় এবং কাগজসংকটের কারণে আরও বেশি দেরি হয়।

গত দু-তিন বছর শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ১ জানুয়ারি উৎসব করে বই বিতরণ শুরু হলেও দরপত্রসংক্রান্ত জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই দেওয়া যায়নি। সব বই দিতে কিছুদিন দেরি হয়েছিল। কিন্তু এবার বই দিতে মাত্রাতিরিক্ত দেরি হয়েছে।

বর্তমানে এনসিটিবির নিয়মিত চেয়ারম্যান নেই। সম্প্রতি অবসরে গেছেন এত দিন চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। বর্তমানে চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন সংস্থাটির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে সব বই সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী বছর যাতে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা সব বই পেতে পারে, সে জন্য এখন থেকে বই ছাপানোর কাজের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ