আটক আড়ত কর্মচারীকে ছাড়িয়ে নিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
Published: 7th, March 2025 GMT
নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ করার সময় রাজধানীর পল্টন থেকে আটক একজনকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ওই ব্যক্তির নাম আরমান আলী (৪০)। তিনি রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি কাঁচামালের আড়তের কর্মচারী বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা কার্যালয় গিয়ে আরমানকে ছাড়িয়ে আনেন। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা মেডিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আরমানকে সেনাবাহিনী সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে ডিবি পুলিশের কাছে দিয়েছিল। এ খবর পেয়ে তিনি আরমানকে ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
আজ জুমার নামাজের পর ঢাকার পল্টন মোড়ে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এ সময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তখন সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরমান আলীসহ বেশ কয়েকজন আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেলে আরমান আলী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কারওয়ান বাজারে একটি আড়তে কাজ করেন। তাঁর বাসা ফকিরেরপুল পানির ট্যাংকের কাছে। ঘটনার সময় তিনি বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় হিযবুত তাহ্রীরের সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন। তখন সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে আটক করে।
এদিকে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া পল্টনের ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হিযবুত তাহ্রীরের এক সদস্যকে পুলিশ পেটাচ্ছে। এ সময় আরমানকে দেখা যায়, তিনিও হিযবুত তাহ্রীরের ওই সদস্যের ওপর চড়াও হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে ১০ মাটি খেকোকে কারাদণ্ড
গাজীপুরে রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির দায়ে ১০ জন মাটি খেকোকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাজীপুর মহানগরের কারখানা বাজার, কড্ডা ব্রিজ, বাইমাইল, কোনাবাড়ি ও ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মামুনুর রশিদের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ আদেশ প্রদান করেন। সোমবার সকালে দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে চারটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও শেখ মামুনুর রশিদ জানান, রাতের আঁধারে ওই সকল এলাকায় ফসলি জমি থেকে অপরিকল্পিতভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিল। রোববার মধ্য রাতের পর এমন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১০ জনকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরে ওই ১০ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মঈন খান এলিস, টঙ্গী (রাজস্ব) সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইদুজ্জামান হিমু ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।