মিজানুর রহমান ও মাহফিজুল ইসলাম রবিনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে দারুণ জয় পেয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আল আমিন হোসেনের ফাইফারের দিনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়লেও কোনো লাভ হয়নি শেষ পর্যন্ত। 

বিকেএসপিতে শুক্রবার (৭ মার্চ, ২০২৫) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৮ রান করে শাইনপুকুর। তাড়া করতে নেমে ৪৮.

৫ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্রাদার্স।

সর্বোচ্চ ১৩৬ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন মিজানুর। ১২৯ বলে ১০টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ৯৬ বলে দেখা পান শতকের। ১১৪ রান করেন ওপেনার রবিন। ১২৭ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান তিনি। সেঞ্চুরি করেন ১১৭ বলে। 

আরো পড়ুন:

পারভেজের সেঞ্চুরির ম্যাচে লিটন ফ্লপ, আবাহনীর জয়

৩২ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আলাউদ্দিন জেতালেন পারটেক্সকে

দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মিজানুর-রবিন। দুজনে যোগ করেন ২৫০ রান। মিজানুর মাঠ ছাড়লে জুটির পতন হয়। এরপর অধিনায়ক মাইশুকুর রহমান ১৭ ও অলক কাপালি ৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। রাহিম আহমেদ নেন ২ উইকেট।

এর আগে মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন রাহিম। শাইনপুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন তিনি। ৯৬ বলে ৫টি করে ৪টি ছক্কার মারে এই রান করেন রিনি। এ ছাড়া রায়ান রাফসান ৪৭ ও অনিক সরকার ৪০ রান করেন।

ব্রাদার্সের হয়ে আল আমিন হোসেন একাই নেন ৫ উইকেট। ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নেন আল আমিন। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন অলক কাপালি।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ