ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিভিন্ন বিভাগ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিবৃতি দিয়েছেন।

গতকাল রাত থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ; শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ; অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি ও লিডারশিপ বিভাগ; শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট; আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ; স্বাস্থ্য অর্থনীতি; নৃবিজ্ঞান বিভাগ; প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ; টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগ; ম্যানেজমেন্ট বিভাগ; চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ; অর্থনীতি বিভাগ; ইংরেজি বিভাগ; ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগসহ অন্তত ২০টি বিভাগ এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

এসব বিবৃতিতে তাঁরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তাকারী মোস্তফা আসিফ অর্ণবের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অনেকগুলো বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁর চাকরি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন, তা না হলে তাঁরা ক্লাস–পরীক্ষা বর্জনের হুশিয়ারিও দিয়েছেন। তাঁরা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে পশ্চিম তীরে ধর্মঘট

গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা বন্ধের দাবিতে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ধর্মঘট করেছেন ফিলিস্তিনিরা। সোমবার পশ্চিম তীরজুড়ে দোকানপাট, বিদ্যালয় এবং বেশির ভাগ প্রশাসনিক ভবন বন্ধ ছিল। পূর্ব জেরুজালেমের ব্যস্ত সালাহেদ্দিন সড়কও ছিল খালি।

‘ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত নিধন ও চলমান হত্যাকাণ্ডের’ প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ফাতাহ, হামাসসহ ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর জোট। ইসরায়েলের দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, শরণার্থীশিবির এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থকদের এই ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানায় তারা।

সোমবার বেথলেহেমে ফাদি সাদি নামের এক দোকানদার এএফপিকে বলেন, ‘আজ আমি শহরের ভেতর দিয়ে হেঁটে গিয়েছি। তবে এমন একটি জায়গাও খুঁজে পাইনি, সেটি খোলা ছিল।’ আর জেরুজালেমের এক দোকান মালিক ইমাদ সালমান বলেন, ‘গাজায় আমাদের পরিবারের জন্য, আমাদের শিশুদের জন্য আজ আমরা (দোকান) বন্ধ রেখেছি।’  

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ ১৫ মাস পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরে ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবার ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা দখলের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ধর্মঘটে অংশ নেওয়া আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ট্রাম্প বা নেতানিয়াহু, ইসরায়েল সরকার বা মার্কিন সরকার যে–ই হোক, ফিলিস্তিনিদের ওপর যে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এবং গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সোমবার এই ধর্মঘট পালন করেন তাঁরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ১৮ মাস ধরে চলা সহিংসতায় উপত্যকাটিতে অন্তত ৫০ হাজার ৬৯৫ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশু বেশি। এই সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন। আর গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের হিসাবে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। তাঁদের মধ্যে নিখোঁজ ফিলিস্তিনিরাও রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ