নারী নির্যাতনসহ ‘নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন: মির্জা ফখরুল
Published: 7th, March 2025 GMT
নারী-নির্যাতনসহ ‘সার্বিক নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারকে নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে দেশে নারী নির্যাতনসহ নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যা নারীদের সংবিধানস্বীকৃত অধিকার।’
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও নারীরা যে, অগ্রগামিতা দেখাচ্ছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের মতো বিদেশেও নারীরা প্রশসংনীয় ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি ও হেনস্থা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে।
ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দেশে নারী নির্যাতন বেড়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে, যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য তনসহ ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়িতে প্রেমিকের রক্ত ছিটিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজান গৃহবধূ: পুলিশ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘরের মেঝেসহ বাড়ির বিভিন্ন স্থানে প্রেমিকের রক্ত ছিটিয়ে নিখোঁজ হওয়ার নাটক সাজানো গৃহবধূ আঁখি আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের পাদ্রিশিবপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। গৃহবধূর প্রেমিক হাসান মাহমুদও (৩২) আটক হন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) এতথ্য জানান কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে, কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চাকামইয়া গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন আাঁখি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় অনেকে ধারণা করেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে অপরহরণ করা হয়েছিল উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন আঁখির বাবা আলমগীর হাওলাদার। ওই মামলায় আাঁখির স্বামী আলমগীর হোসেনসহ শ্বশুর বাড়ির ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এরপর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে আঁখি আক্তার ও তার প্রেমিকা মাহমুদ হাসানকে পাদ্রিশিবপুর গ্রাম থেকে আটক করে।
আরো পড়ুন:
ডাবল মার্ডারে গ্রেপ্তার, তাহসিন হত্যাকাণ্ডে রিমান্ডে ছোট সাজ্জাদ
শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি
পুলিশ জানায়, প্রায় ৯ মাস আগে আঁখি আক্তারের ছোট বোনকে দেখতে তার বাবার বাড়ি বাকেরগঞ্জের পূর্ব মহেষপুর গ্রামে যান হাসান। সে সময় হাসান আঁখি আক্তারের বোনকে পছন্দ করলেও তারা হাসানকে পছন্দ করেনি। বিষয়টি হাসানকে ফোন করে জানান আঁখি। এরপর তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কথা হয়। এক পর্যায়ে হাসানের সঙ্গে আঁখির প্রেমর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হাসান আঁখিকে নিয়ে যেতে কলাপাড়ায় আসেন। তার আগে তিনি আমতলীতে নিজের একব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে আঁখির স্বামী আলমগীর হোসেনের বাড়ি কলাপাড়ার পশ্চিম চাকামাইয়া যান। আঁখি তার প্রেমিকের কাছ থেকে রক্ত নিয়ে স্বামীর ঘরের মেঝেসহ বাড়ির বিভিন্ন স্থানে ছিটিয়ে দেন। পরে তিন সন্তানকে রেখে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যান আঁখি। এ ঘটনায় ওই দিন হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বামী আলমগীর হোসেনসহ শ্বশুর বাড়ির ৯ জনের নামে থানায় মামলা করেন আঁখির বাবা আলমগীর হাওলাদার। পরে পুলিশ স্বামী আলমগীরসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। বর্তমানে তারা জেল হাজতে আছেন।
আঁখিকে খুঁজে বের করতে মাঠে নামে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা পুলিশ হাসানের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে গৃহবধূ ও তার প্রেমিককে আটক করে পুলিশ।
কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গৃহবধূ আঁখি ও তার প্রেমিক হাসনকে আটক করেছে। তার পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। আটকের সময় হাসানের বাড়িতে শুধু তার মা উপস্থিত ছিলেন। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ