ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলা
Published: 7th, March 2025 GMT
আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ্ আল মিলনসহ দুই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তারা বিয়ে করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পৌরসভার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে পৌঁছালে আসামিরা তাদের গতিরোধ স্টেশনের ভেতরে নিয়ে যায়। তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমিকের মধ্যে বিরোধ বাধিয়ে দেয়। প্রেমিক ছেলেটি বিয়ে করতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার কাছ থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ওই টাকা তরুণীকে দেওয়ার কথা বলে ৪টি ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তী সময়ে সেই টাকা না দিয়ে তরুণীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তরুণী টাকা আনতে গেলে মিলন তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তরুণী চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাকে রক্ষা করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল্লাহ্ আল মিলন বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন অনু বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। মিলন দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ছাত্রদল নেতাসহ দুই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ৯ জন আটক
মাগুরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জেলা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়কসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি মাদক পাওয়া গেছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাগুরা পৌরসভার পারলা এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন মাগুরা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি ফরিদ হাসান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা নূহু দারুল হুদা, ভায়না এলাকার কাজী আরিফুল হক, আবালপুর গ্রামের আবদুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের আইনুল হোসাইন, শাহীন শেখ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইলিয়াছ খান ও ঢাকার আদাবর এলাকার সৈয়দ খায়রুল আলম।
মাগুরা সেনা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, পৌরসভার পারলা এলাকায় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছেন। গতকাল রাতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১টি চায়নিজ পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি একনলা বন্দুক, ৪টি গুলি, ১টি এয়ার গান, এয়ারগানের ২৬৪টি গুলি, ২টি চায়নিজ কুড়াল, ৬টি চাপাতি, ২ বোতল মদ, ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও ১১টি মুঠোফোন ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়।
তবে এ অভিযানকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন আটক হওয়া ফরিদ হাসান খানের ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খান। তিনি আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইসহ যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মাগুরার বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁরা আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদার। অভিযানে যে টাকা উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেটা আমাদের ব্যবসায়িক টাকা। যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো ওখানে ছিল না। ওখানে আমাদের ১৬ একর জমির ওপর ফার্ম, যে দেশি অস্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো ওই ফার্মের পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। এমন ষড়যন্ত্রমূলক কাজের জন্য সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।’
জানতে চাইলে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর সাফিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফরিদ হাসান খানের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। ওই সব অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অস্ত্র, মাদকসহ তাঁর সহযোগীদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, সকালে আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।