বগুড়ার শেরপুরে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
Published: 7th, March 2025 GMT
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় তিথি দত্ত (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে শহরের কর্মকার পাড়ায় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তিথি দত্ত ওই ভবনের ব্যালকনির গ্রিলের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, তা তাঁরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিথি দত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছিলেন। গত ১ মার্চ তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার পর পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসেন।
তিথি দত্তের পরিবার বলছে, ৬ মার্চ রাতে পরিবারের সবাই রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত পৌনে দুইটার দিকে তিথির মা ওয়াশ রুমে যাওয়ার সময় মেয়ের কক্ষের লাইট জ্বলতে দেখেন। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দেন। তখন তিনি দেখতে পান, তিথি ব্যালকনির গ্রিলের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তিথিকে নামিয়ে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে পরিবারের কেউ নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তিথি দত্তের মানসিক অবস্থা বা অন্য কোনো বিশেষ চাপ ছিল কি না, সে বিষয়েও পুলিশি অনুসন্ধান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সমাবেশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এই প্রতিবাদী সমাবেশ আয়োজন করে রাবি শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, “কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা যে অমানবিক হামলা চালিয়েছে তারপরও সেখানকার উপাচার্য চুপ করে আছেন। তিনি বহিরাগতদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে। নিজের ক্যাম্পাসের মধ্যে বহিরাগতদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েও শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি। তার মানে তিনি নিজেও অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত।”
আরো পড়ুন:
রাবির পরীক্ষার জন্য শনিবার বন্ধ থাকবে জবি
ফ্যাসিবাদমুক্ত বর্ষবরণে রাবি শিক্ষার্থীদের অনুভূতি
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের পাশে না থেকে তিনি হল বন্ধ করে দিয়েছেন। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে না থেকে বহিরাগতদের সঙ্গে এবং রাজনৈতিক পাওয়ারের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে, যা আমরা ফ্যাসিবাদী আমলে দেখেছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কুয়েটের শিক্ষার্থীরা তাদের উপাচার্যর পদত্যাগের দাবিতে যে প্রতিবাদ করেছে, আমরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরি মিশু বলেন, “নতুন বাংলাদেশে ছাত্রদের রক্তের উপর পাড়া দিয়ে যে প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে, সেই প্রশাসন'ই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সাধারণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে বহিষ্কার করছে। কুয়েট উপাচার্য যা করেছে, তার সাবধান হওয়ার কিছুই নেই। অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই। যদি সে নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ না করে, তাহলে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে তাকে বহিষ্কার করতে হবে।”
আরেক সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসে আধিপত্যবাদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। আমাদের নয় দফা দাবির ৯ নাম্বারে উল্লেখ ছিল, ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি ও আধিপত্যবাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বিপ্লবের ৯ মাস পার হয়ে গেলেও তার কোনো পদক্ষেপ আমাদের চোখে পড়েনি। কুয়েট উপাচার্য যা করেছে তা স্বৈরাচার হাসিনার সঙ্গে সমতুল্য।”
তিনি বলেন, “দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কোনো উপাচার্যকে স্বপদে দেখতে চাই না। অবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই এবং আমরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের এক দফার সঙ্গে সম্পুর্ণভাবে একমত পোষণ করছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী