রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) এবং মাহমুদুল হাসান (২১)। এদের মধ্যে মনিরুল ইসলামকে দুই দিন, মোহতাসিন বিল্লাহ, মাহমুদুল হাসানকে এক দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীর বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপণ্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের ভেতর আতঙ্ক সৃষ্টি, উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে ৭ মার্চ  শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ‘মার্চ ফর খেলাফতে’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এজন্য উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে মোহতাসিন বিল্লাহর  বাসায় একত্রিত হয়ে শলাপরামর্শ করে। পরে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করা হয়। অন্যান্য আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ১২ নম্বর সেক্টর থেকে মাহমুদুল হাসানকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য বলে জানায়। 

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর কবির মামলা করেন।

ঢাকা/মামুন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার নতুন প্রধামন্ত্রী মার্ক কার্নি

কানাডার নতুন প্রধামন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন। স্থানীয় সময় রোববার প্রধামন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা।

মার্ক কার্নি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

রোববার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন ১১ হাজার ১৩৪ ভোট।

টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। এরপর তাঁর উত্তরাধিকার বাছাইয়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনকানাডায় কে হচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি০৭ জানুয়ারি ২০২৫

কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে যিনি লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রীও হন তিনি। এ হিসেবে মার্ক কার্নি নির্বাচনের আগপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ