নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগুন লেগে তিনটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের চিমনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিন পরিবারের আটটি ঘরসহ ১০ লাখ টাকার সামগ্রী পুড়ে গেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
গ্রামের খবির মণ্ডলের তিন ছেলে খোরশেদ মণ্ডল, নওশাদ মণ্ডল ও মুক্তার হোসেনের বসতবাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
দয়ারামপুর ফায়ার স্টেশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে খোরশেদ মণ্ডলের বাড়িতে আগুন লাগে। সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে নওশাদ ও মুক্তার হোসেনের বাড়িতে। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে দয়ারামপুর ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা এসে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের আটটি বসতঘরসহ টাকা, একটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে গেছে।
দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনমাস্টার ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। প্রাথমিক তদন্তে অগ্নিকাণ্ডে পরিবারগুলোর প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের জের, মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়াল দুই এলাকার মানুষ
মা-মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার জের ধরে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দুই এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কয়েক দফার এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের এক নারী তাঁর মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু এলাকায় ঘুরতে যান। এ সময় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন কিশোর গোপনে তাঁদের ছবি তোলেন ও উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। মা–মেয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কিশোরেরা তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বিষয়টি চোখে পড়লে প্রতিবাদ জানান চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার সাজু ও মোতালেব মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। এরপর কয়েকজন তাঁদের মারধর করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) ভুট্টাখেত দেখতে গেলে শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে আলমগীরকে তাঁর পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন। তাঁকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই ঘটনার পর দুই পক্ষের মানুষ মাইকিং করে লোকজন ডাকে। এরপর দুই পক্ষের শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুপক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রমনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আশেক বলেন, গোপনে মা-মেয়ের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন থেকে দুই এলাকার মানুষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। আজ চিলমারীর একজন কৃষক জমিতে কাজ করতে গেলে সুন্দরগঞ্জ শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করে। ওই ঘটনায় দুই এলাকার মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, উভয় এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।