Samakal:
2025-03-09@23:31:32 GMT

আগুনে নিঃস্ব তিন পরিবার

Published: 7th, March 2025 GMT

আগুনে নিঃস্ব তিন পরিবার

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগুন লেগে তিনটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের চিমনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিন পরিবারের আটটি ঘরসহ ১০ লাখ টাকার সামগ্রী পুড়ে গেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

গ্রামের খবির মণ্ডলের তিন ছেলে খোরশেদ মণ্ডল, নওশাদ মণ্ডল ও মুক্তার হোসেনের বসতবাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দয়ারামপুর ফায়ার স্টেশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে খোরশেদ মণ্ডলের বাড়িতে আগুন লাগে। সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে নওশাদ ও মুক্তার হোসেনের বাড়িতে। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে দয়ারামপুর ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা এসে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের আটটি বসতঘরসহ টাকা, একটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে গেছে।

দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনমাস্টার ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। প্রাথমিক তদন্তে অগ্নিকাণ্ডে পরিবারগুলোর প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা তাদের।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আগ ন পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।

তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।

হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।        

সম্পর্কিত নিবন্ধ