আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তাঁর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আটজন পেশাদার চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে মামলা করা হয়। গত বছর সেপ্টেম্বরে সেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম পিছিয়ে চলতি বছরের মার্চে নেওয়া হয়।

’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তির মৃত্যুর চার বছর পর অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে আলোচিত সেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম। বার্তা সংস্থা এএফপি আগামী মঙ্গলবার থেকে বিচার কার্য শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদ্রোতে শুরু হতে যাওয়া চার মাসব্যাপী এই বিচারিক কার্যক্রমে ম্যারাডোনার পরিবার এবং চিকিৎসকসহ ১০০ জনের বেশি সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে। বিচারে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে কারাবাসের সাজা হতে পারে ৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত।

সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনা মাঠ ও মাঠের বাইরে সমানভাবে আলোচিত ছিলেন। আর্জেন্টিনাকে প্রায় একক কৃতিত্বে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো ম্যারাডোনা দীর্ঘদিন কোকেন ও মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন।

ম্যারাডোনা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর বুয়েনস এইরেসে নিজ বাসায় মারা যান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যে কাজের পর নাঈম শেখের ব্যাটে ছুটছে রানের ফোয়ারা

সবশেষ লাল-সবুজের জার্সিতে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে দেখা গেছে ওয়ানডে সংস্করণে। দেড় বছর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শেষ ওয়ানডে খেলার এক বছর আগে। আর একমাত্র টেস্ট খেলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে।

লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও নাঈম শেখ আসল কাজটাই করেছেন। নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন। তাতে ধারাবাহিকভাবে হাসছে তার ব্যাট, ছুটছে রানের ফোয়ারা। একটু পরিসংখ্যানে চোখ বুলানো যাক।

২০২৪ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৫৩৬ রান করে হয়েছিলেন পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বছরের শেষে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ৩১৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ৫১১ রান করে ছিলেন সবার ওপরে। এবার চলমান ঢাকা লিগে ১৭৬ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন প্রাইম ব্যাংকের এই ক্রিকেটার।

আরো পড়ুন:

বৃথা গেল আল-আমিনের সেঞ্চুরি, আবাহনীর জয়

নাঈম শেখের ১৭৬, দলের জয়ের ব্যবধান ১৭৩

অফ ফর্মের কারণে নাঈম জাতীয় দলের ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। তানজীদ হাসান তামিমরা রান করার পর আর জায়গা পাননি জাতীয় দলে। ব্যাটিংয়ে ছিল কৌশলগৎ সমস্যা। ফুটওয়ার্ক ছিল বাজে। নাঈম এসব নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে বাইশ গজে রানের দেখা পাচ্ছেন।

১৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর নিজের কাজ নিয়ে নাঈম সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ফুটওয়ার্ক নিয়ে…দুই বছর যেভাবে কাজ করতেছি, এখনও একই প্রসেসে ব্যাটিং করেছি। হয়তো বেশি এক্টিভ মনে হয়েছে।”

“অবশ্যই। কাভার, এক্সট্রা কাভার নিয়ে আমি বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছি। এনসিএল থেকে এ জিনিসগুলো করতেছি। কিছু কিছু স্পেসিফিক জায়গা থাকে, যেখানে রান করলে ভালো লাগে। চেষ্টা করতেছিলাম যেন মিস না হয়”-আরও যোগ করেন নাঈম।

নাঈমের ১২৫ বলের ইনিংসটি ছিল চোখ ধাঁধানো। ১৮টি চার ও ৮টি ছক্কায় সাজানো। ৩৮ বলে ফিফটির পর ৮২ বলে সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর ৪৩ বলে করেছেন ৭৬ রান। অল্পের জন্য পাননি ডাবল সেঞ্চুরি। আউট হওয়ার পর হতাশাও কাজ করছিল, কিন্তু এই নিয়ে কোনো আক্ষেপ কাজ করছে না।

নাঈম বলেন, “ওই সময় মনে হচ্ছিল আরেকটু মনোযোগ থাকলে ভালো। আমি ৩৬–৩৭ ওভারের সময় আউট হইছি, হয়তো ৪৪–৪৫ ওভার পর্যন্ত যেতে পারলে আলাদা কিছু করতে পারতাম।”

“আক্ষেপ নাই। ১৭৬ করতে পেরে ভালো লাগছে। কোনো আক্ষেপ নাই।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ