খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মাদকের টাকা না দেওয়ায় গভীর রাতে মা–বাবাকে কুপিয়ে জখম করেছেন আবুল কালাম (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনার পর তাঁকে আটক করে এলাকাবাসী পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার বেলছড়ির ক্যাম্পটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. আবদুর রহিম (৭০) ও তাঁর স্ত্রী আমেনা বেগম (৬০)। তাঁদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

তফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মাদকের জন্য টাকা না দেওয়ার কারণে বাবা-মাকে কুপিয়েছে ছেলে। এ ঘটনায় ছেলেকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ঢাকায় বিভিন্ন ইসলামি দলের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ইসলামি দল। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় তারা বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধ করাসহ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের এক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা। হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল তাঁদের হাতে।

নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর বিভিন্ন দল ও সংগঠন একের পর এক মিছিল নিয়ে বের হতে থাকেন। এর মধ্যে ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শান্তি সংঘ, তিসরী ইনসাফ দল, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সংঘ, আল কুদ্‌স কমিটি বাংলাদেশ, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় ইমাম সমাজসহ অনেকে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু করে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজ মর্মাহত, আমাদের হৃদয় আজ রক্তাক্ত। যত দিন পর্যন্ত আল আকসা মুক্ত না হবে, লড়াই চলবে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করুন।’ তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আগামীকালের মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ কর্মসূচিগুলো ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য বায়তুল মোকাররম ও পল্টন এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ