ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ফেব্রুয়ারি মাসের সেরা পরুষ ক্রিকেটারকে পুরস্কৃত করার জন্য ৩ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করেছে। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ডামাডলে একটি ক্রিকেটময় মাস কেটেছে ফেব্রুয়ারি। এই আসরের পারফরম্যান্স কিছুটা হলেও এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় ভূমিকা রেখেছে।

মাস সেরা হওয়ার দৌড়ে আছেন ভারতের ওপেনার শুবমান গিল। নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস এবং সদ্যই ওডিআইকে বিদায় বলা অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ।

আইসিসি মেন’স প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মনোনীতরা:

আরো পড়ুন:

ফাইনালে আম্পায়ার থাকছেন যারা

ম্যাচ ডে’তে রোজা না রাখায় সমালোচিত শামি  

শুবমন গিল:
ফেব্রুয়ারিতে ১০০’র উপর গড়ে ৪০৬ রান করেছেন ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যান গিল। ওডিয়াইতে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে যথাক্রমে ৮৭, ৬০ এবং ১১২ রান করেন, যা ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জযয়ে সাহাযয় করে। আত্মবিশ্বাসী গিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

গ্লেন ফিলিপস:
নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ফিলিপস ফেব্রুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে দলকে শিরোপা জেতান। সেই সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ ছক্কায় ৭৪ বলে ১০৬ রানের একটা ইনিংস খেলেন কিউই অলরাউন্ডার। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম দিনে ৩৯ বলে ৬১ রান করেন এবং প্রতিপক্ষে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এক চমৎকার ক্যাচে সাজঘরে ফেরান।

স্টিভেন স্মিথ:
স্মিথের ফর্ম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আহামরি ছিল না, তবে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পেছনে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। প্রথম টেস্টে তিনি ১৪১ রান করেন। দ্বিতীয় টেস্টে ১৩১ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটের জয় এনে দেন, যা তাকে প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজের পুরস্কার এনে দেয়।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

শুল্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্র দিনে ২০০ কোটি ডলার আয় করছে—ট্রাম্পের এ দাবি কি সত্য

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে শুল্কের খড়্গ চাপানোর পেছনে যুক্তি হিসেবে বারবারই যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ‘অন্যায্য বাণিজ্যের’ শিকার হচ্ছে, সেই দাবি করছেন।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর দেশে বিদেশি পণ্য প্রবেশের ওপর শুল্ক বা আমদানি কর ধার্য করেন। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের পণ্যে আরোপ করেছেন সর্বোচ্চ ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক। প্রতিশোধ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যে ধার্য করেছে বড় অঙ্কের শুল্ক।

শুল্ক নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করা দাবিগুলোর কিছু প্রমাণিত নয় বা এমনকি সেসব মিথ্যা। বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে বিবিসি ভেরিফাই।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারাও সম্প্রতি দাবি করেছেন, বছরে এখন থেকে শুল্ক আয় ৭০০ বিলিয়ন (৭০ হাজার কোটি) ডলারে দাঁড়াতে পারে। এ থেকে দিনে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি এ পরিসংখ্যান কীভাবে দাঁড় করালেন, সেটি পরিষ্কার নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুল্ক থেকে দেশটির আয় তাঁর দেওয়া এ পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক কম হতে পারে।যুক্তরাষ্ট্র কি দৈনিক ২ বিলিয়ন ডলার আয় করছে

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে তাঁর নতুন শুল্ক ঘোষণার বিষয়ে গত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘আমরা শুল্ক দিয়ে প্রচুর আয় করছি—দিনে (২ বিলিয়ন) ২০০ কোটি ডলার।’

ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে সমর্থন করে, এমন কোনো প্রকাশিত তথ্য বিবিসি ভেরিফাই খুঁজে পায়নি। যদিও শুল্ক থেকে পাওয়া কত অর্থ ফেডারেল সরকারে পাঠানো হয়, তা নিয়ে প্রতিদিন বিবৃতি দেয় মার্কিন অর্থ বিভাগ।

৭ এপ্রিল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক আয় সর্বোচ্চ ২১৫ মিলিয়ন (২১ কোটি ৫০ লাখ) ডলার। এটি ট্রাম্পের দাবি করা অঙ্কের চেয়ে অনেক কম।

অবশ্য ট্রাম্পের ওই দাবি শুল্ক থেকে বছরের সামনের দিনগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের অনুমেয় আয়ের ভিত্তিতে হতে পারে।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র দৈনিক ৯ বিলিয়ন (৯০০ কোটি) ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। কিছু বিশ্লেষক হিসাব কষে দেখেছেন, গত ২ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রাম্পের আরোপ করা গড় শুল্কহার ছিল ২২ শতাংশ। সে হিসাবে আমদানি করা পণ্য থেকে দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আয় হতে পারে ২ বিলিয়ন (তবে নতুন শুল্ক ঘোষণায় দেশটিতে পণ্য আমদানি কমতে পারে)। এখানে যে আয়ের কথা বলা হয়েছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানির পরিমাণ আগের মতোই ধরা হয়েছে।

ট্রাম্পের ওই দাবির ভিত্তি ৬ এপ্রিল তাঁর বাণিজ্য উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেও হতে পারে।

আরও পড়ুনপাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেন ট্রাম্প, এ সময় এই শুল্ক থাকছে ১০ শতাংশ১৬ ঘণ্টা আগে

বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারাও দাবি করেছিলেন, বছরে এখন থেকে শুল্ক আয় ৭০০ বিলিয়ন (৭০ হাজার কোটি) ডলারে দাঁড়াতে পারে। এ থেকে যুক্তরাষ্ট্র দিনে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা এ পরিসংখ্যান কীভাবে দাঁড় করালেন, সেটি পরিষ্কার নয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুল্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আয় তাঁর দেওয়া এ পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক কম হতে পারে।

ট্রাম্পের দাবির পক্ষে হোয়াইট হাউসের বক্তব্য জানতে চেয়েছে বিবিসি ভেরিফাই।

আপনারা জানেন, আমরা তাদের (ইইউ) কাছ থেকে লাখ লাখ গাড়ি নিই। তারা কোনো গাড়ি নেয় না। তারা আমাদের কৃষিপণ্যও নেয় না। তারা কিছুই নেয় না।ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টচীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি কি ১ লাখ কোটি ডলার

একটি দেশ যখন অন্য দেশের কাছে থেকে রপ্তানির তুলনায় পণ্য আমদানি বেশি করে, তখন বাণিজ্যঘাটতি দেখা দেয়। ট্রাম্পের দাবি, চীনের সঙ্গে তার এ ঘাটতির পরিমাণ বিশাল।

৭ এপ্রিল ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের ১ লাখ কোটি ডলারের বাণিজ্যঘাটতি।’

রপ্তানি বাণিজ্যে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে, ঠিক। তবে ট্রাম্প যেমনটা দাবি করেছেন, তেমনটা নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ