জিয়াউল হক পলাশ। তাঁর প্রথম পরিচয় নির্মাতা পরে তিনি অভিনেতা। দুই পরিচয় থাকলেও নির্মাতা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। অভিনয়ে কাজল আরেফিন অমির ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্টে’ তার অভিনীত ‘কাবিলা’ চরিত্রটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। তার

সেই পরিচিতি ভাঙার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন অভিনেতা। তারই রেশ মিললো নতুন নির্মাণ ‘খালিদ’-এর পোস্টারে। এখানে পলাশকে দেখা যাবে একজন বোহেমিয়ান বক্সারের চরিত্রে। এটি নির্মাণ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা তানিম রহমান অংশু।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নির্মাতা অংশু ও পলাশ ‘খালিদ’র পোস্টার সোশ্যাল সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছে পলাশের। হাত দুটো বক্সারের আদলে। যার মাধ্যমে নতুন এক পলাশকে দেখতে পেলো ভক্তরা।

তানিম রহমান অংশু সমকালকে জানান, নতুন ল্যাংগুয়েজের ফাইট দেখা যাবে এতে। যেখানে হ্যান্ড টু হ্যান্ড, পিঠ ফাইটিং এবং বক্সিং রয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশের ফিকশনের ক্ষেত্রে একেবারে নতুন।

পলাশ বলেন, ‘এটি একজন বোহেমিয়ান বক্সারের গল্প। যিনি ঘটনাক্রমে জীবনের বিভিন্ন জটিলতায় আটকে যান। এটি পুরোপুরি কাল্পনিক গল্প। কিন্তু অংশু ভাই যেভাবে এই গল্পটি বুনেছেন, সেটা অবশ্যই ব্যতিক্রম। আমি সবসময় ব্যতিক্রমী গল্প ও চরিত্রে আগ্রহী। ঈদে দশটি কাজ করার চেয়ে দু-একটি ব্যতিক্রমী কাজই যথেষ্ট। এটি তেমনই একটি কাজ।’

‘খালিদ’-এ পলাশ ছাড়াও অভিনয় করেছেন আরফান মৃধা শিবলু, তানিয়া আহমেদ, সাফা কবির, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ। ইউটিউবের জন্য নির্মিত হয়েছে নাটকটি। আসন্ন ঈদে ক্লাব ইলেভেনের ইউটিউবে মুক্তি পাবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’

ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।

‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।

একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।

মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’

এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।

মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মায়ের মৃত্যুর তিন দিন পর কিশোরীকে ধর্ষণ, বাবা গ্রেপ্তার
  • ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পীর প্রতিবাদ
  • রোজার দিনে কড়া রোদে দীর্ঘ অপেক্ষা
  • ‘ধর্ষককে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করুন’
  • রূপগঞ্জে প্রবাসীদের গাড়ীতে ডাকাতি: ২ পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৫
  • আমার কোমরে সেই দাগটা ১০ বছর ছিল: শিল্পা
  • ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে লন্ডনের বিগ বেন টাওয়ারে ওঠা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার
  • ট্রাম্পকে যারা ভোট দিয়েছিলেন চাকরিচ্যুত করলেন তাদেরও
  • যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স কত দূর যেতে পারেন
  • ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’