হামজা চৌধুরী আসবেন, আনন্দে ভাসছে হবিগঞ্জের স্নানঘাট
Published: 7th, March 2025 GMT
মাথাভর্তি ঝাঁকড়া চুল, উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। মাঠ মাতানো এই ইংলিশ ফুটবলারের বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জে। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে আলোচনায় এই হামজা চৌধুরী। একসময় হামজা নিজেই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। অবশেষে তার জন্য খুলছে দুয়ার। হামজাকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অনুমতি দিয়েছে ফিফা।
সৌদি আরবে ভারতের বিপক্ষে আগামী ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ দলের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশি বংশদ্ভূত এই ইংলিশ ফুটবলারের।
বাবা-মায়ের সঙ্গে হামজা চৌধুরী
দেওয়ান হামজা চৌধুরী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা। বাবার নাম দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী। মা রাফিয়া চৌধুরী। তবে হামজার জন্ম ইংল্যান্ডের লাফবোরো শহরে। খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটিতে। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলে ঝোঁক ছিল হামজার। তাই তো ৫ বছর বয়সেই তাকে ভর্তি করা হয়েছিল লাফবোরো ফুটবল ক্লাবে।
লাল সবুজের জার্সিতে মাঠে নামার আগে কবে নাগাদ দেশে আসবেন হামজা? এ নিয়ে বাতাসে ভাসছিলো নানা গুঞ্জন। অবশেষে চূড়ান্ত হলো দিনক্ষণ। হামজা ও তার পরিবারের ইচ্ছে ঢাকায় নয়, সরাসরি তার পৈতৃক নিবাস বাহুবলের স্নানঘাটে যাবেন হামজা। এ সফরে হামজার সঙ্গে তার স্ত্রী এবং সন্তানেরও আসার কথা রয়েছে।
হামজা চৌধুরীদের গ্রামের বাড়ির অভ্যন্তর
দেওয়ান হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে আসার খবরে তার গ্রামের বাড়ি স্নানঘাটসহ জেলাবাসী আনন্দে ভাসছে। তাকে দেখতে চান এক নজর। গ্রামে আসাকে কেন্দ্র করে বাড়ির ঘর ও প্রাচীরের রঙ লাগাতে দেখা গেছে। বাড়িতে তাকে বরণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বাড়িতে গেলে পাওয়া যায় তার বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরীকে। তিনি জানান, ছেলে দেওয়ান হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য আসবেন। বর্তমানে এ প্রসঙ্গে তিনি মিডিয়ার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন না। পরবর্তীতে কথা বলবেন।
স্নানঘাট এলাকার পল্লী চিকিৎসক সজল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “দেওয়ান হামজা চৌধুরী সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি শিশুকাল থেকে ফুটবল খেলার প্রতি মনযোগী ছিলেন। তিনি এবার দেশের হয়ে খেলবেন শুনেছি। এতে গ্রামসহ জেলাবাসী আনন্দিত। আমরা তার অপেক্ষায় আছি।”
ঢাকা/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২০ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহরণের শিকার শিক্ষার্থী
মির্জাপুরে অপহরণের ২০ দিন পার হলেও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিদের অনেকেই গ্রামে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না বলে অভিযোগ বাদীপক্ষের। রোববার দুপুরে মির্জাপুর প্রেস ক্লাবে এসে এসব অভিযোগ করেন অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীর মা ও দাদা।
গোড়াই ইউনিয়নের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৪) প্রতিদিনের মতো গত ১৭ ফ্রেরুয়ারি বিদ্যালয়ে যায়। বিকেলে বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন স্বজন। এর মধ্যে একই গ্রামের খোকন (২৩) ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে নিজের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। খোকন ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন শিক্ষার্থীর দাদা।
অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি খোকনের লোকজন ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে বাদীপক্ষের ওপর হামলা চালায়। খোকনের ভাই রিপন, প্রকাশ, গোপাল ও শম্ভুসহ পাঁচ-সাতজন মিলে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার এবং বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর মা ও দাদা। রোববার মির্জাপুর প্রেস ক্লাবে এসে হতাশা প্রকাশ করে কান্নাকাটি করতে থাকেন তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ নূরুন্নবী বলেন, এ ঘটনায় গোপাল নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তার এবং অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।