যশোরে নিজের খালুর দুই চোখ উপড়ে ফেলা সাদ্দামকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে শহরের পালবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন রাতে শহরের বকচর করিম তেল পাম্প এলাকায় সাদ্দাম (৩২) তার খালু শহিদুল ইসলামের ওপর হামলা করে দুই চোখ উপরে ফেলে। শহিদুলকে গুরুতর অবস্থায় রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহত শহিদুল ইসলাম (৬০) বকচর করিম পাম্প কবরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা। সাদ্দাম (৩০) তার ভায়রা শাহ জামালের ছেলে।

আজ শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, দুই মাস আগে সাদ্দাম ও তার স্ত্রী পিয়ার সঙ্গে ডিভোর্স হয়। সেই স্ত্রীর সঙ্গে তার খালু শহিদুল পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদ্দাম আঙ্গুল দিয়ে শহিদুলের দুই চোখ তুলে পালিয়ে যান।

এসপি নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম জানান, সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে খালুর পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হন। পরে তার দুই চোখ তুলে নেন সাদ্দাম।

এসপি জানান, আটক সাদ্দামকে হত্যা চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও এ ঘটনায় অন্য কোনো ঘটনা বা কেউ জড়িত আছে কি না সেটা উদঘাটনে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার, যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র

এছাড়াও পড়ুন:

এত বছর কেউ আমার কথা ভাবেনি: জিৎ

‘জোশ’, ‘আওয়ারা’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘দুই পৃথিবী’র মতো যেমন বাণিজ্যিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তেমনই দর্শক তাকে দেখেছে ‘অসুর’, ‘রাবণ’, ‘মানুষ’-এর মতো ছকভাঙা চরিত্রে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই প্রযোজকের ভূমিকাও সমানতালে সামাল দিচ্ছেন। দেখতে দেখতে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বাইশ বছর পার করেছেন নায়ক জিৎ।

এবার নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর সুবাদে বলিউডে অভিষেক ঘটল জিতের। এবার তিনি জানালেন, তার কাছে হিন্দির চেয়ে বাংলায় কাজ করাই নাকি বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে জিৎ বলেন, ‘এত বছর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমার কথা ভাবেনি। তবে আমি বরাবরই এখানে কাজ করতে চাইতাম কারণ আমি আদতে হিন্দিভাষী। আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রিতে বাণিজ্যিক সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের ১০-১৫ বছর ধরে বিনোদিত করা অভিনেতাদের মধ্যে খুবই কমই রয়েছেন, যারা ভালো করে হিন্দি বলতে পারেন। বাংলায় কাজ করাটাই আমার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, আমি হিন্দিতে ভাবি।’ 

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার একে-অপরকে অনেক দিন ধরেই চিনি। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে একসঙ্গে নিজেদের মতো করে কাজ করেছি। তাই আমাদের সমীকরণ ভীষণই ভালো। ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর জন্য যখন একসঙ্গে কাজ করছিলাম, তখনও মনে হয়নি প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করছি আমরা। সেটা আমাদের এত সহজ সুন্দর সমীকরণের জন্যই সম্ভব হয়েছে।”

হিন্দি ভাষী হলেও বাংলার দর্শকরা জিৎকে মনপ্রাণ ঢেলে আপন করে নিয়েছে। টালিউডে দু’ দশক কাটিয়ে তেইশ সালে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন অভিনেতা।

জিতের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালের ১৪ জুন। হরনাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে টালিউডে ‘বিজয়’ চরিত্রে আত্মপ্রকাশ। সেই ‘সাথী’ বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিসে আজও অন্যতম মাইলফলক হিসেবে রয়ে গেছে। টানা ২৫ সপ্তাহ হাউজফুল শো উপহার দিয়েছিল ‘সাথী’। ফিল্মি কেরিয়ারের গোড়াতেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন জিৎ। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘সাথী’র বিজয় থেকে টালিউডের ‘বস’ হয়ে উঠেছেন জিৎ।

গত ২ দশকে ৫৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ২০টির বেশি ব্লকবাস্টার এবং একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বলিউড ডেবিউ সিরিজ ‘খাকি ২’ চর্চার শিরোনামে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ