মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘বেওয়াচ’ ও ‘নাইট রাইডার’খ্যাত তারকা অভিনেত্রী পামেলা বাখ আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।  যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেলিব্রেটি গসিপ সাইট টিএমজেড এ খবর প্রকাশ করেছে।

আইন প্রয়োগকারী সূত্রের বরাত দিয়ে টিএমজেড জানিয়েছে, পামেলার পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে তারা পামেলার হলিউড হিলসের বাড়িতে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান এবং বাড়িতে তাকে আবিষ্কার করেন।

গত ৫ মার্চ রাত ১০টার কিছু পর একজন অচেতন মহিলার খবর পেয়ে প্যারামেডিকের একটি টিমকে ডাকা হয় পামেলার বাড়িতে। তারা গিয়ে পামেলাকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করেন। পামেলার মাথায় গুলি লেগেছিল। তবে তারা সেখানে কোনো নোট পাননি বলেও সংবাদমাধ্যমটিকে জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‘অস্কার পেলে চতুর্থ সন্তান উপহার দেব’, স্ত্রীর কথা রাখলেন অভিনেতা

অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’

লস অ্যাঞ্জেলেসের মেডিকেল পরীক্ষক অফিস জানিয়েছে, গত বুধবার মারা গেছেন পামেলা। তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

১৯৮৯ সালে অভিনেতা ডেভিড হ্যাসেলহফের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পামেলা। ২০০৬ সালে ভেঙে যায় এই সংসার। এ সংসারে তাদের দুটো সন্তান রয়েছে। প্রাক্তন স্ত্রীর আত্মহত্যার খবর পেয়েছেন ডেভিড।

টিএমজেড-কে ডেভিড বলেন, ‘পামেলা হ্যাসেলহফের মৃত্যুতে আমাদের পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে ভালোবাসা, সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ। তবে এই সময়ে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনুরোধ করছি।”

১৯৬২ সালে ওকলাহোমার টুলসায় জন্মগ্রহণ করেন পামেলা বাখ। ১৯৭০ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে বাখের অভিনয় জীবন শুরু। পামেলা বাখ অভিনীত উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো— ‘সোপ অপেরা দ্য ইয় অ্যান্ড দ্য রেস্টলেস’, ‘চিয়ার্স’, ‘দ্য ফল গাই’, ‘টিজে হুকার’, ‘সুপারবয়’, ‘ভাইপার’।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মহাকাশে অবস্থান পরিবর্তন করছে বিরল এক কৃষ্ণগহ্বর

সম্প্রতি একটি অতিকায় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরটি দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সংযুক্তির কারণে দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। বিরল এই কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ শুরু শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কৃষ্ণগহ্বরটি তার ছায়াপথ ৩সি ১৮৬ থেকে প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটে যাচ্ছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা গেছে, ছায়াপথের নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণের সময় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরটি গ্যালাকটিক কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ছিল; কিন্তু বর্তমানে কৃষ্ণগহ্বরটি তার আগের অবস্থানে নেই। কৃষ্ণগহ্বরটির এই অবস্থান পরিবর্তন কোনো বড় ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সম্ভবত কোনো গ্যালাকটিক সংঘর্ষ বা সংযুক্তির কারণে এমনটা ঘটছে।

আরও পড়ুনকৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি২০ জানুয়ারি ২০২৫

গভীর অনুসন্ধানের জন্য বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের নির্গত আলো বিশ্লেষণ করতে চিলির টেলিস্কোপ ও হাওয়াইয়ের সুবারু টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। দেখা গেছে, কৃষ্ণগহ্বরের অ্যাক্রিশন ডিস্ক থেকে নীল আলো আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। যার অর্থ কৃষ্ণগহ্বরটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে গ্যাস অনেক দুর্বল নীল আলো প্রদর্শন করছে, যার কারণে বোঝা যাচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরটি তার অন্যান্য ছায়াপথের তুলনায় বেশি গতিতে ছুটছে।

আরও পড়ুনআকারে বড় কৃষ্ণগহ্বর বিজ্ঞানীদের নজর এড়িয়ে যায় কেন১৫ জানুয়ারি ২০২৫

বিজ্ঞানীরা জানান, দুটি ছায়াপথের সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণগহ্বরটি। এর ফলে সেখানে থাকা কেন্দ্রীয় কৃষ্ণগহ্বর একটি বৃহত্তর ছায়াপথে মিশে গেছে। এই সংমিশ্রণের ফলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছে, যা বাইরের দিকে বিকিরণ শুরু করেছে। বিরল ধরনের এই অতিকায় কৃষ্ণগহ্বরের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ