হিযবুত তাহরীরের কর্মসূচি: থমথমে পুরানা পল্টন এলাকা
Published: 7th, March 2025 GMT
নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকা থমথমে অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটির কয়েক হাজার সমর্থক।এ সময় পুলিশ তাদের উদ্দেশে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশকে বেশ কয়েকজনকে আটক করতে দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দিলে তা উপেক্ষা করে হিজবুত তাহরীরের লোকজন এগিয়ে যেতে থাকে। পল্টন মোড়েও তাদের বাধা থামাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বিজয়নগর পানির পাম্প মোড় প্রদক্ষিণ করে পল্টনের দিকে এগোলে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। সেই টিয়ারশেল উপেক্ষা করে মিছিলটি পল্টন ময়দানে গেলে পুলিশ তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষই পল্টন ময়দানে মুখোমুখি অবস্থানে আছে।
জানা যায়, তুরস্কে খিলাফত পতনের ১০১ বছরের প্রেক্ষাপটে এই কর্মসূচি ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনের রাস্তায় জড়ো হয় হিজবুত তাহরীরের কয়েক হাজার সমর্থক। ‘মুক্তির একপথ, খিলাফত খিলাফত’ এই স্লোগান দিয়ে তারা মার্চ শুরু করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটির দাবি
চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার’ নামের একটি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মিশন চাকমা।
এতে বলা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিহু, চাংক্রান, চৈত্রসংক্রান্তি আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এ উৎসব পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতিসত্তা এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের কাছে জাতীয় ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও উৎসবের দিন তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উৎসব উপলক্ষে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এক দিনের রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ৫ মার্চ উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। চিঠি দেওয়া ওই সংগঠনগুলো হচ্ছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।