নেশার টাকা না পেয়ে বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম, অভিযুক্ত ছেলে আটক
Published: 7th, March 2025 GMT
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আবুল কালাম আজাদ (৩৫) নামের এক ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বাবা আব্দুর রহিম ও মা আমিনা বেগম।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের ক্যাম্পটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো.
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ছেলে আবুল কালাম আজাদ বাড়িতে ফিরে মা-বাবাকে নেশার টাকার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মা-বাবাকে গুরুতর জখম করেন তিনি।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। তারা বর্তমানে চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা অভিযুক্ত মাদকাসক্ত ছেলে আজাদকে আটক করে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথবাহিনীর অভিযানে টাঙ্গাইলের সাবেক এমপির বাসা পাগলমুক্ত
টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাড়ি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের ছোট কালিবাড়ীর এলাকার বাসা থেকে পাগলদের বের করে সন্তোষ বড়ইতলায় এলাকায় পূর্বের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯ টা হতে সদর উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে শনিবার সকালে ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন। এতে জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানান, এভাবে একজনের বাড়ি দখল করা কোন কাম্য নয়। আমরা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করি। একই সাথে আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল থেকেই এসব পাগলদের খাবার দেয়া হয়নি। তারা সারাদিন না খেয়েই দিন যাপন করেছেন।
জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বলেন, “আমাদের কাছে প্রথমে মিস্টি নামের এক মেয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিলো। সেই টাকা না দেয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করবো।”
তিনি আরো বলেন, “বাড়িটি আমার নামে, আমার স্বামীর নামে নয়। আমি এ ঘটনায় সঠিক বিচারের দাবি করছি।”
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফ বলেন, “১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীনদের উদ্ধার করা হয়। সমাজসেবাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।”
ঢাকা/কাওছার/টিপু