চীনের তৈরি বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন সিআর৪৫০ বেইজিংয়ের রিং রেলওয়েতে টাইপ টেস্ট পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ট্রেনটির পরীক্ষামূলক গতি ঘণ্টায় ৪৫০ কিলোমিটার এবং বাণিজ্যিক গতি ৪০০ কিলোমিটার, যা এর আগের সিআর৪০০ ফুসিং ট্রেনের চেয়ে ১০০ কিলোমিটার বেশি।

ট্রেনটির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ফেং জানিয়েছেন, সিআর৪৫০ হাই-স্পিড ট্রেন প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও পরিচালনা ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বেশি গতির জন্য ট্রেনের ট্র্যাকশন ক্যাপাসিটি, ডায়নামিক পারফরম্যান্স ও প্যান্টোগ্রাফ সিস্টেম উন্নত করা হয়েছে। এতে ওয়াটার-কুলড পার্মানেন্ট ম্যাগনেট ট্র্যাকশন সিস্টেম, নতুন প্রজন্মের উচ্চ-স্থিতিশীল বগি ও এআই-সমৃদ্ধ মাল্টি-সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

এ ট্রেনে আছে ৪ হাজারেরও বেশি সেন্সর, যা ট্রেনের গতিবিধি, কার বডি, ট্র্যাকশন, ব্রেকিং ও অগ্নি শনাক্তকরণ ব্যবস্থা রিয়েল টাইমে পর্যবেক্ষণ করে।

হালকা উপকরণ ব্যবহারের ফলে ট্রেনের ওজন ১০ শতাংশ কমেছে এবং চলাচলের সময় বাতাসের প্রতিরোধ কমেছে ২২ শতাংশ। শব্দ কমাতে এতে বিশেষ উপকরণ ও অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে, যা কেবিনের শব্দ ২ ডেসিবেল কমিয়ে দেবে।

সূত্র: সিএমজি

ঢাকা/হাসান/এনএইচ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা

মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।

এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহারে চার পদ
  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা