ডিজিটাল সেবাদাতা প্ল্যাটফর্ম সহজ বাংলাদেশ তাদের জনসংযোগ অংশীদার হিসেবে বেঞ্চমার্ক পিআরকে নিয়োগ দিয়েছে।

সহজ বাংলাদেশে অনলাইন টিকিটিং সেবায় পথপ্রদর্শক হিসেবে লাখো মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বেঞ্চমার্ক পিআরের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে সহজ তার বাজার উপস্থিতি আরও শক্ত করার পাশাপাশি গ্রাহক ও অংশীজনদের সঙ্গে সংযোগ গভীর করতে চায়। বেঞ্চমার্ক পিআরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বেঞ্চমার্ক পিআরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফ কায়সার বলেন, ‘একটি দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে সহজ বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমরা এই যাত্রার অংশ হতে পেরে আনন্দিত। ব্র্যান্ড স্টোরিটেলিং ও স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনে আমাদের দক্ষতা সহজকে তার গ্রাহকদের সাথে আরও অর্থবহ সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করবে।’

সহজের প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা তালাত রহিম বলেন, ‘আমরা বেঞ্চমার্ক পিআরের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত। কারণ, আমরা আমাদের সেবাকে আরও উন্নত ও সম্প্রসারিত করছি। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ডিজিটাল প্রেক্ষাপটে কার্যকর যোগাযোগ খুবই প্রয়োজনীয়। তাই বেঞ্চমার্ক পিআরের দক্ষতা আমাদের ব্র্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাটমোহরে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ

পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাবনার চাটমোহরে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগের তীর চাটমোহর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক মামুনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের অভিযোগ করে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে ধরে মামুনের নেতৃত্বে তার ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী এসে শুক্রবার বিকেলে আমার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। বাড়িতে থাকা নারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। মামুন ও তার লোকজন বাড়ির প্রধান ফটকে ভাঙচুরের চেষ্টা করে। না পেরে পেছন দিকে গিয়ে টিনের ঘর ও রান্নাঘর ভাঙচুর করে। এছাড়া বসতঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা চলে বাড়ির মহিলারা আগুন নেভায়।

বিএনপি নেতা সাইফল ইসলাম বলেন, পবাখালী মিনহাজ মোড় গ্রামের জামে মসজিদের বরাদ্দ ২ মেট্রিক টন চাল তোলা নিয়ে মসজিদ কমিটির দুই পক্ষের বিরোধ চলছে। সম্প্রতি কমিটির ক্যাশিয়ার মতিন চাল তুলে বিক্রি করে টাকা তার কাছে রেখেছিল। আমার বাড়ি এক জায়গায়, মসজিদ অন্য জায়গায়। সেই মসজিদ কমিটিরও আমি কেউ নই। অথচ ওই মসজিদের চাল আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে এই মামুন গং। এছাড়াও শুক্রবার দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাতেও আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। আমি এসব ষড়যন্ত্রে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মামুনের বিচার চাই।

ফৈলজানা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, মূলত আমার চাচা সাইফুল ইসলাম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেন। কেমন মানুষ সবাই জানে। তাকে হেয় করে নিজে বড় হতে চায় মামুন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে সে। যাতে আমার চাচাকে নিচে ফেলে সে উপরে উঠতে পারে, বড় নেতা হতে পারে এজন্য মামুন নানাভাবে ষড়যন্ত্র আর হয়রানি করে যাচ্ছে।

ফৈলজানা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক পালন বলেন, আমি শুনে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এসে ভাঙচুরের ঘটনা জানতে পারি। বিষয়টি দুঃখজনক। নিজ দলের নেতাকর্মীদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমি এই হামলা ভাঙচুরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাটমোহর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মিনহাজ মোড় জামে মসজিদের চাউল চুরির ঘটনা এলাকাবাসী জেনে যাওয়ায় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন মুসল্লিদের বাড়িতে গিয়ে মারধর করেছে। সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী তার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। এখানে আমি জড়িত নই। কূল কিনারা না পেয়ে তিনি এখন আমার দিকে মিথ্যা অভিযোগ ছুঁড়ছেন।

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ