যুবদল নেতাকে পেটালেন জিয়া পরিষদ ও প্রজন্ম দলের নেতাকর্মীরা
Published: 7th, March 2025 GMT
চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকরাদরকে মারধর করেছেন নিজ দলের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্ট হাউসের নিচতলায় ঘটনাটি ঘটে।
শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল মিয়া ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজীবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন নৌশাদ শিকদারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটির ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
আরো পড়ুন:
বাসচালককে পেটানোর অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে, মহাসড়কে বিক্ষোভ
কুয়েটের এক প্রকৌশলীকে মারধর, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিকদার গেস্ট হাউসের নিচতলায় নৌশাদ শিকদারকে দেখেই লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন টুটুল মিয়া ও মো.
অভিযুক্ত টুটুল বলেন, “আমার গোষ্ঠীর মোমেদ আলীর দোকান এক মাস আগে জোর করে বন্ধ করে দেন নৌশাদ। দোকানটি চালু করতে হলে তাকে নাকি নগদ ১ লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হবে।”
নৌশাদ শিকদার বলেন, “আমাকে কী কারণে তারা মারধর করল, তা আমি কিছুই জানি না। তাদের যে অভিযোগ আমি শুনেছি, তা মিথ্যা। আমি কারো কাছ থেকে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জন মিলে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। আমি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, “গতকাল নৌশাদকে পেটানোর একটি ভিডিও দেখেছি। যা মোটেও ঠিক হয়নি। আমি এ ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। যাঁরা জড়িত সেটি পর্যালোচনা করব এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করব।”
মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই শোনেননি। কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ম ঠ মইন ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলি
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এনিয়ে টানা ছয় রাত কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের পারগওয়াল সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারী গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রথমবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।