চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকরাদরকে মারধর করেছেন নিজ দলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্ট হাউসের নিচতলায় ঘটনাটি ঘটে।

শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল মিয়া ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজীবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন নৌশাদ শিকদারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটির ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

আরো পড়ুন:

বাসচালককে পেটানোর অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে, মহাসড়কে বিক্ষোভ

কুয়েটের এক প্রকৌশলীকে মারধর, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিকদার গেস্ট হাউসের নিচতলায় নৌশাদ শিকদারকে দেখেই লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন টুটুল মিয়া ও মো.

সজীবের নেতৃত্বে থাকা ১০-১২ জন। পরে এলাকাবাসী আহত নৌশাদ শিকদারকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

অভিযুক্ত টুটুল বলেন, “আমার গোষ্ঠীর মোমেদ আলীর দোকান এক মাস আগে জোর করে বন্ধ করে দেন নৌশাদ। দোকানটি চালু করতে হলে তাকে নাকি নগদ ১ লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হবে।”

নৌশাদ শিকদার বলেন, “আমাকে কী কারণে তারা মারধর করল, তা আমি কিছুই জানি না। তাদের যে অভিযোগ আমি শুনেছি, তা মিথ্যা। আমি কারো কাছ থেকে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জন মিলে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। আমি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।”

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, “গতকাল নৌশাদকে পেটানোর একটি ভিডিও দেখেছি। যা মোটেও ঠিক হয়নি। আমি এ ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। যাঁরা জড়িত সেটি পর্যালোচনা করব এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করব।”

মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই শোনেননি। কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। 

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ম ঠ মইন ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন দাবিতে কফিনযাত্রা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে কফিন নিয়ে পদযাত্রা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়ায় ‘আমরা ১১ জনে’র ব্যানারে এ কর্মসূচি হয়।

সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৩১ মার্চ চুনতি জাঙ্গালিয়ায় ৫ ও ১ এপ্রিল ১১ জন নিহত হন। গতকাল নিহত ১১ জনের কফিন অবয়ব নিয়ে পদযাত্রা হয়। পরে ১১ আন্দোলনকারী কাফন পরে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা রক্তাক্ত লাশের মতো অবস্থান করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। এ সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা  আর দীর্ঘ লাশের মিছিল চাই না।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ