ইসি সঠিকভাবে কাজ করলে জুনের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব: রিজভী
Published: 7th, March 2025 GMT
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনের জন্য গড়িমসি কেন? নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে কেন? শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজশাহীতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের তো সংবিধান আছে, সংশোধনের উপায় আছে? তাহলে গণপরিষদের কথা আসছে কেন? এ কথাগুলো জনগণের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি করছে।
রিজভী বলেন, ভারত বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্র বানিয়েছিল। আর এখন ভারত শেখ হাসিনার দোসরদের বাগানবাড়ি। শেখ হাসিনার দোসররা ভারতে আশ্রয় পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতকে আলোচনা করার অধিকার কে দিয়েছে? রিজভী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার টার্গেট ছিল বিএনপিকে ধ্বংস করা। শেখ হাসিনা তাঁর ব্যক্তিগত আক্রোশের প্রতিফলন ঘটাতেন আদালতের মাধ্যমে।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর এই আয়োজনে কেন্দ্রীয় বিএনপি, রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন। এই আয়োজন থেকে শহীদ পরিবারের এক লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্পিন শক্তি স্পিন বল
ভারত কি একটু দেরিতে নিজের বোলিং শক্তি টের পেল? এমন মনে হওয়ার কারণ, শেষ গ্রুপ ম্যাচে এসে তারা চার স্পিনার নামায়। এর পর সেমিতেও একই কম্বিনেশনে খেলেছে। ফাইনালেও যে তারা চার স্পিনার নিয়েই নামছে, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। দুবাইয়ের মন্থর পিচে নিউজিল্যান্ডও স্পিননির্ভর বোলিং আক্রমণ নিয়েই আজ নামতে যাচ্ছে। আর কিউইদের স্পিন আক্রমণও মন্দ নয়। স্পিনই ফাইনালের নির্ধারক হয়ে উঠতে পারে।
কিউইদের বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচে অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবেই বরুণ চক্রবর্তীকে সুযোগ দেয় ভারত। ৪২ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করেন মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বরুণ। এ রহস্য স্পিনার এখন ভারতের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছেন। তাঁর অপ্রচলিত গ্রিপ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেলিভারির কারণে তাঁকে খেলা বেশ কঠিন। ক্যারম বল, গুগলি, ফ্লিপারের মতো ডেলিভারির পাশাপাশি উইকেটের দুই দিকেই বেশ গতির সঙ্গে বল ঘোরাতে পারেন তিনি। তাঁর অন্তর্ভুক্তি ভারতের বোলিং আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবও বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। বোলিং অ্যাকশনে কোনো রকম পরিবর্তন না এনেই উইকেটের দু’দিকে বল ঘোরাতে পারেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর আরেকটি বড় অস্ত্র হলো ফ্লাইট। এ দু’জনই উইকেট টেকার। নিখুঁত লাইন-লেন্থে বিরামহীন উইকেট টু উইকেট বল করার ক্ষেত্রে অক্ষর প্যাটেল হলেন বিশেষজ্ঞ। এ জন্য তাঁকে পাওয়ার প্লে বিশেষজ্ঞও বলা হয়। রান দেওয়ার বেলায়ও বেশ কৃপণ তিনি। ওভারপ্রতি ৪.৫১ রান দিয়ে ভারতের চার স্পিনারের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী অক্ষর। রবীন্দ্র জাদেজা হলেন ট্র্যাডিশনাল। তবে অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রয়োজনের সময় উইকেট বের করায় সিদ্ধহস্ত তিনি।
গত চার ম্যাচে ভারতীয় স্পিনাররা মোট ২১ উইকেট নিয়েছেন। কিউই স্পিনাররাও কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে নেই। চার ম্যাচে কিউই স্পিনারদের শিকার ১৭ উইকেট। মিচেল স্যান্টনারের নেতৃত্বে কিউই স্পিন আক্রমণে রয়েছেন মিচেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপস ও রাচিন রবীন্দ্র। এর মধ্যে বাঁহাতি স্যান্টনার উইকেটের দুই দিকে বল ঘোরাতে পারেন। তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ, বিরামহীনভাবে নিখুঁত লেন্থে বল ফেলতে পারেন। যে কারণে স্যান্টনারের বলে রান তোলা বেশ কষ্টকর। অফস্পিনার মিচেল ব্রেসওয়েলের খুব একটা বৈচিত্র্য নেই, উইকেটের দু’দিকে বল ঘোরাতেও পারেন না তিনি। তবে নিখুঁত লাইন-লেন্থ ও গতির তারতম্যের কারণে উইকেট শিকারে বেশ সিদ্ধহস্ত তিনি। উইকেটে যদি সামান্য বাউন্স থাকে, তাহলে তাঁকে খেলা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
কিন্তু দুবাইয়ের পিচে বাউন্স পাবেন কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। টপঅর্ডার ব্যাটার রাচিনের বাঁহাতি স্পিনও বেশ কাজে আসছে কিউইদের। স্পিনে ভারতের চেয়ে তারা যেটুকু পিছিয়ে, সেটা কাভার করে নিচ্ছে পেস দিয়ে। কিউই দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও উইল ও’রুকি দারুণ বোলিং করছেন। তবে তাদের জন্য চিন্তার কারণ হচ্ছে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হেনরি চোটের কারণে ফাইনালে অনিশ্চিত।