মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কাজির পাগলা এলাকায় ভয়াবহ আগুনে ৪টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার রাত ১ টার  দিকে উপজেলার কাজির পাগলা গ্রামের ইউসুফ জামান, মাহাবুব আলম, মাহাফুস আলম ও আব্দুল রফিক বসত ঘরে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সুমন আলী বলেন, “খবর পেয়েই আমরা ঘটনা স্থানে চলে আসি। প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে ৪টি বসতঘর পুড়ে যায়। ধারণা করা হ‌চ্ছে, এতে ১০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘ‌টে‌ছে।”

ঢাকা/রতন/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যুর জেরে প্রতিপক্ষের বসতঘরে আগুন, লুটপাট

মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্য বোরহান মোল্লার (৪০) মৃত্যুর জেরে প্রতিপক্ষের চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এ সময় দুটি বসতঘরসহ তিনটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মনদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বোরহান মোল্লার মৃত্যু হয়। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার চর ব্রাহ্মনদী এলাকার বাসিন্দা ও ঝাউদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত শনিবার দুপুরে মাদারীপুর শহরের চৌরাস্তা এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বোরহান মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ এ সময় পর্যন্ত কাউকে আটকও করতে পারেনি। সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চর ব্রাহ্মনদী এলাকার শিমুল সরদারের সঙ্গে বোরহানের বিরোধ চলছিল। গত শনিবার দুপুরে শহরের পুরানবাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন বোরহান। চৌরাস্তা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান শিমুল সরদার ও তাঁর লোকজন। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বোরহানকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, বোরহানের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাঁর অনুসারীরা ব্রাহ্মনদী এলাকায় শিমুলের অনুসারী হেলাল ফকিরের দুটি বসতঘরসহ চারটি বাড়িতে হামলা চালান। লুটপাট ও ভাঙচুরের একপর্যায়ে তিনটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ক্ষতিগ্রস্ত হেলাল ফকির অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা কোনো হামলা মারামারির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। তবু মেম্বারের লোকজন আমাগো বাড়িঘর লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দিছে। সবকিছু শ্যাষ আমার। পরিবার নিয়ে থাকার জায়গাটুকু নাই।’

এদিকে গ্রেপ্তার–আতঙ্কে প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে ঝাউদি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড। অভিযুক্তরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। এসব বিষয়ে জানতে প্রধান অভিযুক্ত শিমুলকে একাধিকবার কল দিলেও তাঁর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সোহেল সরদার নামের তাঁর এক অনুসারী বলেন, ‘মেম্বার বোরহান কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি নন, তিনি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে এলাকায় বহু মানুষের ক্ষতি করেছেন। এলাকায় লোকজন তাই ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর ওপর হামলা করেন। এলাকায় যেহেতু মার্ডার হইছে, তাই আমাগো লোকজন এলাকায় নাই। পরিস্থিতি এখন গরম, শান্ত হলেই এলাকায় সবাই ফিরে আসবে।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকছেদুর রহমান আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো ঢাকায়। তাই তারা থানায় মামলা করতে আসতে পারেনি। এজাহার দিলেই মামলা গ্রহণ করা হবে। আর যারা প্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে কুপিয়েছে, তাদের একটি সিসিটিভির ফুটেজ আমরা পেয়েছি। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে হামলায় আহত ইউপি সদস্যের মৃত্যুর জেরে প্রতিপক্ষের বসতঘরে আগুন, লুটপাট