বেসনের সঙ্গে যে যে উপাদান মিশিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারেন
Published: 7th, March 2025 GMT
যেকোন ঋতুতে ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। রোজায় ইফতারি বানাতে বেসনের ব্যবহার কম-বেশি করা হয়ে থাকে। এই উপাদান দিয়েই ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
বেসন আর পাকা পেঁপে: প্রথমে পাকা পেঁপের শাঁস চামচ দিয়ে মিহি করে নিন। এরপর এক টেবিল চামচ পাকা পেঁপের পেস্ট আর এক টেবিল চামচ বেসন একসঙ্গে মেশান। এতে কয়েক ফোঁটা কমলালেবু বা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই দেখবেন মুখ পরিষ্কার হয়ে গেছে।
বেসন আর গোলাপ জল: এক টেবিল চামচ বেসন আর সম পরিমাণ গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে ও হাতে ভালভাবে মেখে রাখুন ১০-১৫ মিনিটের জন্য। তারপর মুখ ধুয়ে নিন।
আরো পড়ুন:
রোজায় ত্বকের যত্নে সহজ টিপস
রোজায় কীভাবে দাঁতের যত্ন নেবেন
বেসন আর চন্দনের গুঁড়া: এক টেবিল চামচ বেসন আর তার অর্ধেক চামচ পরিমাণ চন্দনের গুঁড়ার এক টেবিল চামচ দুধ দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে তুলে ফেলুন।
বেসনের ফেসপ্যাক মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। তবে এই ফেসপ্যাক মুখে লাগানোর পরে কোনো অস্বস্তি বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলাই ভালো।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারের চিকিৎসায় অর্থের অপচয় চান না, তাই স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করলেন ব্যবসায়ী
ভারতের দিল্লির কাছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে এক আবাসন ব্যবসায়ী স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেন এবং পরে আত্মহত্যা করেন। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে।
কুলদীপ ত্যাগী (৪৬) নামের ওই ব্যবসায়ী একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, তাঁর ক্যানসার ধরা পড়েছে। আর তিনি চান না, তাঁর চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হোক। কারণ, সুস্থ হওয়াটা পুরোপুরি অনিশ্চিত।
ওই সুইসাইড নোটে আরও লেখা ছিল, তিনি স্ত্রী অনশু ত্যাগীকে হত্যা করেছেন। কারণ, তাঁরা একসঙ্গে থাকার শপথ করেছিলেন। এ দম্পতি দুই ছেলেসন্তান ও কুলদীপের বাবার (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা) সঙ্গে বসবাস করতেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, কুলদীপ তাঁর স্ত্রীকে একটি লাইসেন্স করা রিভলভার দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এবং তারপর তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে রাজনগর এক্সটেনশনের রাধাকুঞ্জ সোসাইটিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সময় তাঁদের দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন। গুলির শব্দ শোনার পর তাঁরা দৌড়ে তাঁদের মা–বাবার কক্ষে যান। কুলদীপের মরদেহ মেঝেতে পাওয়া যায় এবং অনশুর মরদেহ বিছানায় ছিল। দুজনকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই কক্ষে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। নোটে লেখা ছিল: ‘আমি ক্যানসারে আক্রান্ত। আমার পরিবার তা জানে না। আমি চাই না চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হোক। কারণ, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনিশ্চিত। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ, আমরা চিরকাল একসঙ্গে থাকার শপথ নিয়েছিলাম। এটি আমার সিদ্ধান্ত। কেউ, বিশেষ করে আমার সন্তানেরা দায়ী নয়।’
পুলিশ রিভলবারটি জব্দ করেছে এবং মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা পুনম মিশ্র বলেন, ‘কুলদীপ ত্যাগী তাঁর স্ত্রীর এবং তারপর নিজের ওপর লাইসেন্স করা রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছেন। একটি সুইসাইড নোটে কুলদীপ ত্যাগী বলেছেন, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত এবং তাঁর পরিবার তা জানে না। তিনি চান না তাঁর চিকিৎসায় অর্থ খরচ করা হোক। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি স্ত্রী ও নিজেকে হত্যা করবেন। আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করছি।’