ক’দিন আগে মেলো-রোমান্টিক গান ‘শীতের একলা রাতে’ প্রকাশ করে শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন কণ্ঠশিল্পী পুতুল সাজিয়া সুলতানা। এবার এই ক্লোজআপ ওয়ান তারকা গাইলেন একটি দেশের গান। শিরোনাম ‘স্বাধীনতার সোনালি স্বপ্ন’। ‘সবুজে সাজানো এ প্রান্তর, আমার জন্মভূমি; দুঃখ-সুখের ঠিকানা আমার, প্রাণের স্বদেশ তুমি/ হাজার বছর আগলে রেখেছো, ভালোবেসে এভাবেই; তোমার মাটিতে জন্ম আমার, মরবও এখানেই’– এমন কথায় সাজানো গানটি লিখেছেন গীতিকবি হীরেন্দ্রনাথ মৃধা। সুর করেছেন মিল্টন খন্দকার। সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের ‘গীতিনকশা’ অনুষ্ঠানের জন্য গানটি রেকর্ড করা হয়েছে। এ আয়োজন নিয়ে শিল্পী পুতুল বলেন, ‘‘দেশের গান গাইতে পারা যে কোনো শিল্পীর জন্যই অন্য রকম ভালো লাগার। তাই ‘স্বাধীনতার সোনালি স্বপ্ন’ শুধু একটি গান নয়; সৃষ্টিশীল কাজের মধ্য দিয়ে আবেগ-অনুভূতিরও প্রকাশ; যার মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের দেশপ্রেমকে জাগিয়ে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস।’’
পুতুল আরও জানান, মিল্টন খন্দকারের সুরে আগেও ভিন্ন স্বাদের বেশ কিছু গান গেয়েছেন। তবে দেশের গান এই প্রথম গাওয়া। বাংলাদেশ বেতারের আয়োজন নিয়ে নন্দিত এ শিল্পী আরও বলেন, ‘‘রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকে খুঁজছে বাংলাদেশ’ আমাকে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে, এটা সত্যি। তবে গানের ভুবনে আমার পথচলা শুরু বাংলাদেশ বেতার থেকে। শিশুশিল্পী হিসেবে বেতারে গান গাওয়া শুরু। এর পর পরিণত বয়সে এসে এ মাধ্যমে গানও করেছি। তাই বেতারের প্রতি ভালো লাগা, ভালোবাসা সবসময় ছিল, যা আরও কিছুটা বেড়ে গেল দেশের গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে।’’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, কাজে ফিরেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে এসেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শনিবার (৮ মার্চ) রাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানায়।
রবিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন। আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসি কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাইজিংবিডি ডটকমকে জানান, আজ সকাল থেকেই বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন। তবে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা কেউই অফিস করছেন না।
বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) কর্মবিরতি পালন করেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগেরদিন বুধবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেয় বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
গত ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। একপর্যায়ে তারা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন; সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন—বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান (৫৮), নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম (৫৭) ও রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), আল ইসলাম (৩৮), শহিদুল ইসলাম (৪২), ও তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), রায়হান কবীর (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (৩০) ও আব্দুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ (২৯)।
ঢাকা/এনটি/ইভা