‘মাদক সেবন’ দেখে ফেলায় উপড়ে ফেলা হলো ২ চোখ
Published: 7th, March 2025 GMT
‘মাদক সেবন’ দেখে ফেলায় যশোরের বকচরে এক কৃষকের দুই চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আহত ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম।
আহতের স্ত্রী হাসনা বেগম জানান, তার স্বামী পেশায় কৃষক। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তিনি বকচরের নয়ন প্লাস্টিক কারখানার পেছন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেখানে তার বোনের ছেলে সাদ্দাম ও শাহ জামালসহ চার থেকে পাঁচজনকে মাদক সেবন করছিলেন। তাদের দিকে তাকানোর কারণে শহিদুল ইসলামকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলে তারা।
আশপাশের লোকজন পরে তার স্বামীকে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
ডেলিভারি সময় নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন, তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আলী বলেন, “শহিদুল ইসলামকে রাত ৯টা ১৭ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। দুই চোখ তুলে ফেলায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল হোসেন বলেন, “সন্ত্রাসীরা শহিদুল ইসলামের দুই চোখ উপড়ে ফেলেছে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধে দুই চোখ তুলে ফেলার অভিযোগ
যশোরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খালুর দুই চোখ তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে যশোর শহরের বকচর করিম পেট্রোল পাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম (৬০)। তিনি বকচর করিম পাম্প কবরস্থান রোডের বাসিন্দা। অভিযুক্ত সাদ্দাম (৩০) তার ভায়রাভাই শাহ জামালের ছেলে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান জানান, দুর্বৃত্তরা শহীদুলের দুই চোখই উৎপাটন করে ফেলেছে। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
শহিদুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সাদ্দাম স্থানীয় নয়ন প্লাস্টিক দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় আকস্মিকভাবে শহিদুলের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার চোখে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
শহিদুলের মেয়ে মারুফা জানান, তার বাবা এবং প্রতিবেশী তৌহিদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছিল। বিভিন্ন সময়ে তৌহিদ হুমকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছিল। তৌহিদের সঙ্গে সাদ্দামের সখ্যতা রয়েছে। তৌহিদের পরিকল্পনায় সাদ্দাম তার বাবার ওপর হামলা চালিয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং হামলাকারীদের ধরতে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। তদন্ত চলছে।