‘মাদক সেবন’ দেখে ফেলায় যশোরের বকচরে এক কৃষকের দুই চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আহত ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম।

আহতের স্ত্রী হাসনা বেগম জানান, তার স্বামী পেশায় কৃষক। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তিনি বকচরের নয়ন প্লাস্টিক কারখানার পেছন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেখানে তার বোনের ছেলে সাদ্দাম ও শাহ জামালসহ চার থেকে পাঁচজনকে মাদক সেবন করছিলেন। তাদের দিকে তাকানোর কারণে শহিদুল ইসলামকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলে তারা।
আশপাশের লোকজন পরে তার স্বামীকে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

ডেলিভারি সময় নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন, তদন্ত কমিটি গঠন  

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আলী বলেন, “শহিদুল ইসলামকে রাত ৯টা ১৭ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। দুই চোখ তুলে ফেলায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

যশোর কোতয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল হোসেন বলেন, “সন্ত্রাসীরা শহিদুল ইসলামের দুই চোখ উপড়ে ফেলেছে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ঢাকায় বিভিন্ন ইসলামি দলের বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ইসলামি দল। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় তারা বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধ করাসহ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের এক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা। হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ছিল তাঁদের হাতে।

নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর বিভিন্ন দল ও সংগঠন একের পর এক মিছিল নিয়ে বের হতে থাকেন। এর মধ্যে ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শান্তি সংঘ, তিসরী ইনসাফ দল, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সংঘ, আল কুদ্‌স কমিটি বাংলাদেশ, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় ইমাম সমাজসহ অনেকে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু করে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজ মর্মাহত, আমাদের হৃদয় আজ রক্তাক্ত। যত দিন পর্যন্ত আল আকসা মুক্ত না হবে, লড়াই চলবে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করুন।’ তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে আগামীকালের মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ কর্মসূচিগুলো ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য বায়তুল মোকাররম ও পল্টন এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ