আবারো বিয়ে করলেন দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। তার স্ত্রীর নাম তানিয়া শারমীন শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে একটি হোটেলে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

আনিসুর রহমান মিলনের আমন্ত্রণে তার বাসায় হাজির হয়েছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। বিয়ের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, “গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে মিলন ও শিপার বিয়ে হয়েছে। আজ (৬ মার্চ) মিলনের দাওয়াতে তার বউ দেখতে গিয়েছিলাম। দুজনকে খুব ভালো মানিয়েছে। দোয়া করি ওরা যেন সুখী হয়।”

মিলন-শিপা দম্পতির ছবি সামাজিক যোগাযোগমধ্যমে পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চয়নিকা চৌধুরী। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “অনেকে অনেক শুভেচ্ছা মিলন ও শিপা ভাবি। অনেক ভালো লাগল। সুখী হও। আনন্দে ভাসো। এত্ত ভালোবাসা। অভিনন্দন।”

আরো পড়ুন:

আমাকে সাহায্য করুন: সোহানা সাবা

মোশাররফ-তানিয়ার ‘খুচরা পাপী’

আনিসুর রহমান মিলনের প্রথম স্ত্রীর নাম লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন তারা। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলি আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিলন। এ সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। 

তবে দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিসুর রহমান মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী পলি আহমেদ। তারপর থেকে পুত্রকে নিয়ে জীবনযাপন করছিলেন মিলন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

টি২০তে অধিনায়ক লিটন!

নাজমুল হোসেন শান্ত টি২০ দলের অধিনায়ক থাকবেন না, তা আগেই জানা গেছে। টেস্ট ও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকছেন তিনি। শান্তর পারফরম্যান্স এ দুই সংস্করণে যথেষ্ট ভালো। তাঁর ব্যক্তিত্ব, একাগ্রতা, জাতীয় দল সতীর্থদের সঙ্গে সম্পর্কের জায়গাটিও মজবুত হওয়ায় কোচিং স্টাফের পছন্দের অধিনায়ক তিনি। বিসিবি কর্মকর্তারাও শান্তর পক্ষে। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেতৃত্বে রাখা হতে পারে তাঁকে। বিসিবি পরিচালকরাও সে রকম সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে টি২০ দলের নেতৃত্বের জন্য একজন পারফরমার ও দায়িত্বশীল অধিনায়ক খোঁজা হচ্ছে। 

লিটন কুমার দাস সে ক্ষেত্রে সেরা পছন্দ। তাঁর নেতৃত্বে এরই মধ্যে ভালোও করেছে দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে তাদের মাটিতে। বিপিএলে ভালো খেলে টি২০ দলে থাকা এবং নেত্বত্ব ধরে রাখার বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত করেছেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কথাতেও সে রকম ইঙ্গিত আছে।

টেস্টে লিটনের পারফরম্যান্স ধারাবাহিক। টি২০তেও মোটামুটি ভালো। সে তুলনায় ওয়ানডেতে ধারাবাহিক হতে পারছেন না তিনি। ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে শেষ ম্যাচ খেলা হয়নি তাঁর। স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে সস্ত্রীক হোটেল ছেড়েছিলেন। ঢাকা লিগে ম্যাচ খেলতে নেমেও রান করতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজে রান না পাওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নেওয়া হয়নি। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটারকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং টানা দুই ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা লিটনের অনুপস্থিতি জানান দিয়েছে। 

টপঅর্ডারে বাঁহাতি ব্যাটার কমাতে গিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে হাত দিতে হয়েছে। এই পরিবর্তনে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের জন্য লিটনের সামনে ভালো সুযোগ টেস্টে রান করা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো করলে পাকিস্তান সফরে ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকবেন তিনি। লিটন ধারাবাহিক হলে টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য অনেক কাজই সহজ হয়ে যাবে। বিশেষ করে নেতৃত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। অধিনায়ক নির্বাচনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নেব। খুব শিগগির জানা যাবে (কে অধিনায়ক)। এরই মধ্যে দুই-একজন টি২০-এর অধিনায়কত্ব করেছেন, যারা এখনও দলের বাইরে নয়। এ রকম কাউকে আমরা চেষ্টা করব।’

টি২০ দলের অধিনায়ক হিসেবে তাসকিন আহমেদের নামও আলোচনায় আছে। গত টি২০ বিশ্বকাপে শান্তর ডেপুটি ছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাঁরই নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। কোনো এক অজানা কারণে তাসকিনের পরিবর্তে লিটনকে বেছে নেয় বিসিবি। ২০২৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের নেতৃত্বে লিটনকে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা পরিচালকদের। এখন থেকে অধিনায়কের পাশাপাশি সহ-অধিনায়কও নির্বাচন করা হবে বলে জানা গেছে। একইভাবে জাতীয় দল নির্বাচনেও গাইডলাইন তৈরি করতে যাচ্ছে বিসিবি। 

ফারুক বলেন, ‘বোর্ড থেকে একটা পলিসি দেওয়া হবে। আমরা বলে দেব কী চাই। ক্রিকেট অপারেশন্সের সঙ্গে আলাপ করে চিন্তা করব, আমাদের ক্রিকেটকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়।’ এই পলিসি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজ থেকেই দেখা যেতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ