মাগুরায় বোনের বাড়িতে এসে ‘ধর্ষণের’ শিকার শিশু
Published: 7th, March 2025 GMT
মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণের’ শিকার হয়েছে এক শিশু বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরার নিজনান্দুয়ালী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানান, চারদিন আগে শিশুটি তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির বোনের কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান, ঘরের মধ্যে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি পড়ে আছে। তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন ছিল। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক শিশুটিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আরো পড়ুন:
ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, আসামির বাড়ি ভাঙচুর
খুলনায় নদীতে মিললো ৪ বছরের শিশুর মরদেহ
মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে অচিরেই বিস্তারিত ঘটনা প্রকাশ করা হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিরকুট, ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়’
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকার সঙ্গে মনোবাসনা পূরণের কিছু চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুইটি চিরকুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া একটি চিরকুটে লেখা ছিল ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়।’ অন্যটিতে ছিল- ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই- সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনী, পুলিশ, ও আনসার সদস্যরা। দানবক্স খোলাকে কেন্দ্র করে মসজিদটিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।
আরো পড়ুন:
আমিরাতের শেখ জায়েদ মসজিদে ঈদ জামাতে লাখো মুসল্লি
পঞ্চগড়ের যে মসজিদে প্রতিদিন ইফতার করেন ৩০০ জন
এবার চার মাস ১১দিন পর খোলা হলো কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স। মসজিদের ১১টি সিন্দুক বা দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা।
দানবক্সে টাকার পাশাপাশি পাওয়া অনেক চিঠিতে সাধারণ মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। প্রতিবারই দানবাক্স খুলে টাকা গণনার সময় মেলে নাম পরিচয় ছাড়া বহু চিঠি-চিরকুট।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর সর্বশেষ খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। তখন মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। দিনভর গুণে হিসেব মেলে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এবার দানবাক্সগুলো দেরিতে খোলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন আক্তার এর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। তাছাড়া দুইটি মাদরাসার প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে চারশ লোক টাকা গণনার কাজ করছেন।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ