দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গায় বিশ্বের সব থেকে বড় প্রজাতির ‘মালয়ান কাঠবিড়ালি’র দেখা পাওয়া গেছে। জানিয়েছেন কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। 

তিনি জানান, সম্প্রতি হবিগঞ্জের ফটোগ্রাফার শাহেদ আহমেদ কালেঙ্গা বন থেকে এই কাঠবিড়ালির ছবি তোলেন। এর ইংরেজি নাম The black giant squirrel or Malayan giant squirrel (Ratufa bicolor).

মালয়ান কাঠবিড়ালির দেহের দৈর্ঘ্য মাথাসহ প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার। আর লেজ ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, “রেমা বনটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন। এ বনে নানা প্রজাতির কাঠবিড়ালির মধ্যে বিরল এবং সবচেয়ে বড় কাঠবিড়ালিটি হল মালায়ান। এটি অন্য কোন বনে দেখা যায় না।” 

আইইউসিএন এই কাঠবিড়ালিকে সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে শনাক্ত করেছে। ক্রমাগতভাবে বন ধ্বংস, বনের প্রাকৃতিক প্রতিবেশ ব্যবস্থা বিনষ্ট করা, বনের পুরনো এবং দীর্ঘদেহী বৃক্ষগুলো উজাড়, বনে নতুন করে বসতি স্থাপন, দীর্ঘদিন ধরে বনে বাস করা বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষরা বন্যপ্রাণীদের গোপনে শিকার বা হত্যা করার কারণে মালয়ান কাঠবিড়ালির অস্তিত্ব এখন সংকটের মুখে।

বাংরাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “রেমা-কালেঙ্গা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন। এ বনে নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস। এখানে দেখা মিলেছে বিশ্বের সব থেকে বড় কাঠবিড়ালি মালয়ানের। এ বনটি রক্ষায় সবাই মিলে কাজ করে যেতে হবে।”

তিনি বলেন, “একটি পূর্ণবয়স্ক কাঠবিড়ালি দেড় মিটারের মত লম্বা এবং প্রায় দুই কেজি ওজন হতে পারে। এদের মাথা, কান, লেজসহ পৃষ্ঠদেশ কালো বা মেরুন বর্ণের এবং পেটের দিকটা সাদা হয়। গাছের মগডালে ডালপালা ও পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে। মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রজনন মৌসুম। বাংলাদেশের পাশাপাশি চীন, নেপাল, ভারত, মায়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার গহীন বনে এর দেখা মেলে।”

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গায় বিশ্বের বড় কাঠবিড়ালি

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গায় বিশ্বের সব থেকে বড় প্রজাতির ‘মালয়ান কাঠবিড়ালি’র দেখা পাওয়া গেছে। জানিয়েছেন কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। 

তিনি জানান, সম্প্রতি হবিগঞ্জের ফটোগ্রাফার শাহেদ আহমেদ কালেঙ্গা বন থেকে এই কাঠবিড়ালির ছবি তোলেন। এর ইংরেজি নাম The black giant squirrel or Malayan giant squirrel (Ratufa bicolor). মালয়ান কাঠবিড়ালির দেহের দৈর্ঘ্য মাথাসহ প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার। আর লেজ ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, “রেমা বনটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন। এ বনে নানা প্রজাতির কাঠবিড়ালির মধ্যে বিরল এবং সবচেয়ে বড় কাঠবিড়ালিটি হল মালায়ান। এটি অন্য কোন বনে দেখা যায় না।” 

আইইউসিএন এই কাঠবিড়ালিকে সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে শনাক্ত করেছে। ক্রমাগতভাবে বন ধ্বংস, বনের প্রাকৃতিক প্রতিবেশ ব্যবস্থা বিনষ্ট করা, বনের পুরনো এবং দীর্ঘদেহী বৃক্ষগুলো উজাড়, বনে নতুন করে বসতি স্থাপন, দীর্ঘদিন ধরে বনে বাস করা বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষরা বন্যপ্রাণীদের গোপনে শিকার বা হত্যা করার কারণে মালয়ান কাঠবিড়ালির অস্তিত্ব এখন সংকটের মুখে।

বাংরাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “রেমা-কালেঙ্গা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন। এ বনে নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস। এখানে দেখা মিলেছে বিশ্বের সব থেকে বড় কাঠবিড়ালি মালয়ানের। এ বনটি রক্ষায় সবাই মিলে কাজ করে যেতে হবে।”

তিনি বলেন, “একটি পূর্ণবয়স্ক কাঠবিড়ালি দেড় মিটারের মত লম্বা এবং প্রায় দুই কেজি ওজন হতে পারে। এদের মাথা, কান, লেজসহ পৃষ্ঠদেশ কালো বা মেরুন বর্ণের এবং পেটের দিকটা সাদা হয়। গাছের মগডালে ডালপালা ও পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে। মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রজনন মৌসুম। বাংলাদেশের পাশাপাশি চীন, নেপাল, ভারত, মায়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার গহীন বনে এর দেখা মেলে।”

ঢাকা/মামুন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ