ক্রিকেট
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
গাজী গ্রুপ-অগ্রণী ব্যাংক
সরাসরি, সকাল ৯টা;
টি স্পোর্টস টিভি।
শাইনপুকুর-ব্রাদার্স
সরাসরি, সকাল ৯টা;
টি স্পোর্টস ইউটিউব।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ-ধানমন্ডি
সরাসরি, সকাল ৯টা;
টি স্পোর্টস ইউটিউব।
আরো পড়ুন:
টিভিতে আজকের খেলা
টিভিতে আজকের খেলা
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ
দিল্লি-গুজরাট
সরাসরি, রাত ৮টা;
টি স্পোর্টস।
ফুটবল
বুন্দেসলিগা
মনশেনগ্লাডবাখ-মাইনজ
সরাসরি, রাত ১টা ৩০ মিনিট;
সনি স্পোর্টস ২।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ত আজক র খ ল স প র টস
এছাড়াও পড়ুন:
স্পিন শক্তি স্পিন বল
ভারত কি একটু দেরিতে নিজের বোলিং শক্তি টের পেল? এমন মনে হওয়ার কারণ, শেষ গ্রুপ ম্যাচে এসে তারা চার স্পিনার নামায়। এর পর সেমিতেও একই কম্বিনেশনে খেলেছে। ফাইনালেও যে তারা চার স্পিনার নিয়েই নামছে, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। দুবাইয়ের মন্থর পিচে নিউজিল্যান্ডও স্পিননির্ভর বোলিং আক্রমণ নিয়েই আজ নামতে যাচ্ছে। আর কিউইদের স্পিন আক্রমণও মন্দ নয়। স্পিনই ফাইনালের নির্ধারক হয়ে উঠতে পারে।
কিউইদের বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচে অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবেই বরুণ চক্রবর্তীকে সুযোগ দেয় ভারত। ৪২ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করেন মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বরুণ। এ রহস্য স্পিনার এখন ভারতের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছেন। তাঁর অপ্রচলিত গ্রিপ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেলিভারির কারণে তাঁকে খেলা বেশ কঠিন। ক্যারম বল, গুগলি, ফ্লিপারের মতো ডেলিভারির পাশাপাশি উইকেটের দুই দিকেই বেশ গতির সঙ্গে বল ঘোরাতে পারেন তিনি। তাঁর অন্তর্ভুক্তি ভারতের বোলিং আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবও বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। বোলিং অ্যাকশনে কোনো রকম পরিবর্তন না এনেই উইকেটের দু’দিকে বল ঘোরাতে পারেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর আরেকটি বড় অস্ত্র হলো ফ্লাইট। এ দু’জনই উইকেট টেকার। নিখুঁত লাইন-লেন্থে বিরামহীন উইকেট টু উইকেট বল করার ক্ষেত্রে অক্ষর প্যাটেল হলেন বিশেষজ্ঞ। এ জন্য তাঁকে পাওয়ার প্লে বিশেষজ্ঞও বলা হয়। রান দেওয়ার বেলায়ও বেশ কৃপণ তিনি। ওভারপ্রতি ৪.৫১ রান দিয়ে ভারতের চার স্পিনারের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী অক্ষর। রবীন্দ্র জাদেজা হলেন ট্র্যাডিশনাল। তবে অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রয়োজনের সময় উইকেট বের করায় সিদ্ধহস্ত তিনি।
গত চার ম্যাচে ভারতীয় স্পিনাররা মোট ২১ উইকেট নিয়েছেন। কিউই স্পিনাররাও কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে নেই। চার ম্যাচে কিউই স্পিনারদের শিকার ১৭ উইকেট। মিচেল স্যান্টনারের নেতৃত্বে কিউই স্পিন আক্রমণে রয়েছেন মিচেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপস ও রাচিন রবীন্দ্র। এর মধ্যে বাঁহাতি স্যান্টনার উইকেটের দুই দিকে বল ঘোরাতে পারেন। তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ, বিরামহীনভাবে নিখুঁত লেন্থে বল ফেলতে পারেন। যে কারণে স্যান্টনারের বলে রান তোলা বেশ কষ্টকর। অফস্পিনার মিচেল ব্রেসওয়েলের খুব একটা বৈচিত্র্য নেই, উইকেটের দু’দিকে বল ঘোরাতেও পারেন না তিনি। তবে নিখুঁত লাইন-লেন্থ ও গতির তারতম্যের কারণে উইকেট শিকারে বেশ সিদ্ধহস্ত তিনি। উইকেটে যদি সামান্য বাউন্স থাকে, তাহলে তাঁকে খেলা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
কিন্তু দুবাইয়ের পিচে বাউন্স পাবেন কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। টপঅর্ডার ব্যাটার রাচিনের বাঁহাতি স্পিনও বেশ কাজে আসছে কিউইদের। স্পিনে ভারতের চেয়ে তারা যেটুকু পিছিয়ে, সেটা কাভার করে নিচ্ছে পেস দিয়ে। কিউই দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও উইল ও’রুকি দারুণ বোলিং করছেন। তবে তাদের জন্য চিন্তার কারণ হচ্ছে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হেনরি চোটের কারণে ফাইনালে অনিশ্চিত।