ফ্যাটি লিভারের রোগীদের লিভাবে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়ার কারণে লিভাবে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে ক্রনিক হেপাটাইটিস এমনকি ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য রোজা রাখার বহুমাত্রিক উপকারিতা রয়েছে। 

ডা. এম. সাঈদুল হক, লিভার, গ্যাস্ট্রো-এন্টেরোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বলেন ,‘‘ অধিক আহার গ্রহণ করা  থেকে বিরত থাকার জন্য ত্রিশটি রোজা রাখা শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। রোজায় আমরা সুবহে সাদিক থেকে মাগরিব পর্যন্ত পানাহার থেকে যে বিরত থাকি এরপরে ইফতার এবং রাতের খাবার গ্রহণ করি এবং সেক্ষেত্রে যদি আমাদের মধ্যে পরিমিতি বোধ আসে তাহলে দেখা যায় ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্ত থাকতে পারি। আর সপ্তাহে দুই দিন আমরা অনেকেই রোজা রাখি নফল ইবাদত হিসেবে কিংবা বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা রোজাগুলো রাখি সে রোজাতেও কিন্তু ব্যাপক উন্নতি লাভ করে। এখানে যেটি হয় যে ফ্যাটি লিভারে যে অতিরিক্ত চর্বি জমে, সেই চর্বি গলে যায়। রোজায়া আমাদের কোষগুলো রি-জেনারেশন করতে পারে অর্থাৎ কোষের ভেতরে যে ময়লা আবর্জনাগুলো জমে যায় এবং অতিরিক্ত খাদ্যকণা বা চর্বি জমে যায় সেগুলো ঝেড়ে ফেলার সুযোগ পায়।’’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘লিভারের চর্বি ঝরে গেলে লিভার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায় এবং নতুন করে কর্মউদ্দীপনা তৈরি করে। আমরা যারা ফ্যাটি লিভার চিকিৎসা করি তারা রোগীদের পরামর্শ দেই, প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে, সপ্তাহে দুই দিন রোজা রাখতে হবে এবং নিয়ম করে ওষুধ খেতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

হার্টের রোগী রোজা রাখতে চাইলে করণীয়

দেশে জিকা ভাইরাসের প্রথম ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত, আক্রান্ত ৫

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন এটি পৃথিবীব্যাপী একটি মেডিকেল সাইন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময় পানাহার থেকে বিরত থাকলে শারীরিক সুস্থতা লাভ হয় এবং আমারা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারি। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কামরাঙ্গীরচরে চা দোকানিকে মারধরের পর হাতবোমার বিস্ফোরণ, পরে গণপিটুনিতে দুজন নিহত

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গণপিটুনিতে মো. মাসুদ (২৯) ও নাদিম (৩৫) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সোহাগ (৩০) নামের একজন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের সিলেটিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, গণপিটুনির শিকার ৩ ব্যক্তিসহ ৯–১০ জন কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে সিলেটি বাজার এলাকার চা দোকানদার নূর মোহাম্মদকে চাঁদাবাজির মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছিলেন। এতে রাজি না হলে তাঁরা নূর মোহাম্মদকে কুপিয়ে জখম করেন। নূর মোহাম্মদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে করে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করেন। পাঁচ–ছয়জন পালিয়ে যেতে পারলেও তিনজনকে কয়েক হাজার মানুষ ঘিরে ফেলে পিটুনি দেন।

পুলিশের লালবাগ অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গণপিটুনিতে মাসুদ ঘটনাস্থলে মারা যান। থানা–পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে নাদিম ও সোহাগকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। সোহাগ গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ