গত কয়েক বছর প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া ও বিজয় ভার্মা। চলতি বছরে তাদের প্রেম পরিণয় পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কয়েক দিন আগে ভেঙে গেছে এ জুটির সম্পর্ক।  

বিজয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে তামান্নার নাম জড়িয়েছে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। ২০১২ সালে একটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে অভিনয় করেন তারা। এরপর তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। শোনা যায়, সেই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। গুঞ্জন ছড়ানোর পর মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন উভয়ই।

 

তবে পরবর্তীতে এ নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন তামান্না। কিন্তু সেটা কয়েক বছর পর। তামান্না বলেছিলেন, “সত্যি মানুষের কোনো ধারণা নেই; যা খুশি তাই বলে। আমরা একসঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলাম। আমরা সেই সময়ে হয়তো চার-পাঁচটা কথা বলেছিলাম। তারপর আমাদের কোনো কথাই হয়নি।”

 

পাকিস্তানি এক ক্রিকেটারের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল তামান্নার। ২০১৭ সালে দুবাইয়ের এক গহনার দোকান উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন তামান্না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আবদুল রাজ্জাক। সেই দোকানে দাঁড়িয়ে দু’জন ছবিও তুলেছিলেন। পরে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তাদের সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়। দুবাইয়ে রাজ্জাকের সঙ্গে বাগদান সেরেছেন বলেও গুঞ্জন চাউর হয়েছিল।

 

এর আগে এক মার্কিন চিকিৎসকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তামান্নার। এ গুঞ্জনের খবর তামান্নার কানেও পৌঁছেছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে তামান্না বলেছিলেন, “কখনো অভিনেতা, কখনো ক্রিকেটার, কখনো চিকিৎসক। এসব শুনলে মনে হয়, হাতে থলে নিয়ে বাজারে বেরিয়েছি বর খুঁজতে। আমি ভালোবাসায় বিশ্বাস করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এই ধরনের আজেবাজে কথা ছড়ালে তা মেনে নিতে পারব না।”

 

২০১০ সালে মুক্তি পায় ‘পাইয়া’ সিনেমা। এতে তামিল অভিনেতা কার্থির সঙ্গে দেখা যায় তামান্নাকে। বড় পর্দায় এ জুটির রসায়ন দর্শকদের মনে ধরেছিল। তারপর কার্থি-তামান্নার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জোর চর্চা শোনা যায়। কার্থির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তামান্না বলেছিলেন— “অভিনেত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব আমাকে নিয়ে যা কিছু রটছে, সেই ধোঁয়াশা স্পষ্ট করে দেওয়া। কার্থির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ও আমার ভালো বন্ধুও নয়। কার্থি আমার সহকর্মী মাত্র।”

 

বিজয়ের সঙ্গে প্রেম ভাঙার আগে এক পডকাস্টে তামান্না জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমঘটিত কারণে দু’বার আঘাত পেয়েছেন। তবে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও কোনো প্রাক্তন প্রেমিককে ঘৃণা করেন না তিনি। বরং সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

 

এ বিষয়ে তামান্না ভাটিয়া বলেন, “আমার প্রথম সম্পর্ক যখন ভেঙেছিল, তখন আমার বয়স কম। সম্পর্ক ভাঙার পর মনে হয়েছিল আমার অনেক কিছু জানা ও পাওয়ার বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় সম্পর্ক পরিণত বয়সে ভাঙে। সেই মানুষটা আমার জন্য সঠিক ছিল না। দীর্ঘকাল তার সঙ্গে কাটানো যেত না। সম্পর্কের প্রথম দু’-এক সপ্তাহে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়, পরে সেই সমস্যাই বড় আকার ধারণ করে। তাই কখনো এগুলো এড়িয়ে যেতে নেই। সম্পর্কের ক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপদেশ নেওয়া উচিত নয়।”

 

সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট বিশ্বাস লালন করেন তামান্না। এর আগে এই অভিনেত্রী বলেন, “জীবনে মানুষের আসাযাওয়া চলতেই থাকে। তারা কোনো না কোনো কারণে জীবনে আসে। তাদের এই আসাযাওয়াই আমাদের কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা নিজেদের আরো ভালো করে চিনতে পারি। বিচ্ছেদ হলে যন্ত্রণা হবে। সেই যন্ত্রণা মেনে নিয়ে সেখান থেকে সরেও আসতে হবে। কয়েক বছর পর সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে নিজেরাই হাসব। তবে আমাদের জীবনে এমন একজন সত্যিই আসে যে আমাদের নিজেদের মতো গ্রহণ করে নেয়। আমরা যেমন ঠিক তেমনভাবেই আমাদের ভালোবাসে। সেই মানুষটার জন্যই অপেক্ষা করতে হয়।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক র বল ছ ল আম দ র গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

ধৈর্য ধরার আহ্বান কুয়েট কর্তৃপক্ষের, হলে ওঠার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ১৫ এপ্রিল। তবে এখনই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। এ জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান।

এদিকে আগামী রোববার ক্যাম্পাসে ফিরে সবাই একসঙ্গে হলে ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ‘কুয়েট ১৯’ নামের একটি ফেসবুক পেজে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার ওই ঘোষণা দেন। ওই পেজ থেকে কুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের অপূরণীয় ক্ষতির কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থী ও সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে অতি দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও হলগুলো খোলার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী–শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কুয়েটের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দাপ্তরিক কার্যক্রম ১৫ এপ্রিল শুরু হবে, এটা আগেই সিদ্ধান্ত ছিল। আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে হয়েছে; তাই সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমেই এ দুই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে শরীফুল আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা হয়নি। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা আছে।

এদিকে কুয়েট ১৯ নামে শিক্ষার্থীদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘কুয়েটের হল কমিটি, সব বিভাগের ভিপি ও সিআরদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৩ এপ্রিল নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রত্যাশায় আমরা আমাদের কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রত্যাগমন করব এবং সবাই একসঙ্গে হলে উঠব।’

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সব শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংঘবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে ফেসবুক পোস্টে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুয়েট ১৯ ফেসবুক পেজে আরও একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান প্রশাসনকে কুয়েটিয়ানরা পরিহার করেছে। কুয়েটিয়ানদের ১৩ এপ্রিল হলে ফেরার ঘোষণার মুখে প্রশাসন থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিকে আমরা পরিহার করছি। ১৩ এপ্রিল সারা দেশ থেকে কুয়েটিয়ানরা তাদের নিজ নিজ হলে ফেরত আসবে।’

১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরের দিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংঘর্ষের ওই ঘটনার তদন্তে কমিটিও করা হয়। ওই দিন রাতেই খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে লাল কার্ড দেখান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা খুলনা থেকে ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন। এতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এত বছর কেউ আমার কথা ভাবেনি: জিৎ
  • তবে কি মাহওয়াশের প্রেমে মজেছেন চাহাল 
  • তবে কি মহওয়াশের প্রেমে মজেছেন চাহাল 
  • ওয়াক্‌ফ নিয়ে ভারতের মণিপুরে বিক্ষোভ, পশ্চিমবঙ্গে না চালুর ঘোষণা মমতার
  • মা আমাকে বিয়ে না করারই পরামর্শ দিয়েছেন: বিবৃতি
  • বৈশাখের কয়েক পদ
  • ধৈর্য ধরার আহ্বান কুয়েট কর্তৃপক্ষের, হলে ওঠার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
  • চারঘাটে মদ্যপানে দুজনের মৃত্যু, পুলিশ বলছে ‘অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন’
  • টাঙ্গাইলে একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব 
  • মির্জাপুরে একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব, জীবিত ৩ নবজাতক