পলকের বাড়িতে ‘অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প’ নিয়ে যা জানা গেল
Published: 7th, March 2025 GMT
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে পুলিশ ক্যাম্পের ব্যানার লাগিয়েছিল সিংড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর আবার সেই ব্যানার খুলেও নিয়েছে তারা।
পুলিশের দাবি, উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে ভবনটি বাঁচাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে এলাকায় আলোচনা শুরু হয়।
আরো পড়ুন:
নরসিংদীতে জুয়ার টাকা সংগ্রহে সহকর্মীকে হত্যা, ২ বন্ধু গ্রেপ্তার
অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে ২৬ দিনে গ্রেপ্তার ৬৪১
ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে দুই যুবক সিংড়া পৌরশহরের গোড়াউনপাড়ায় অবস্থিত জুনাইদ আহমেদ পলকের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয়তলার গ্রিলের সঙ্গে একটি ব্যানারের দড়ি বাঁধছেন। টানানো ব্যানারটিতে লেখা ছিল ‘অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, সিংড়া, নাটোর।’
গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যার ৭টার পর সিংড়া থানার কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতিতে দুই যুবক পলকের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প লেখা ব্যানার লাগিয়ে চলে যায় বলে জানা যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে সেখানে উৎসুক লোকজন জড়ো হন। গত বুধবার (৫ মার্চ) সকালের কোনো এক সময় ব্যানারটি খুলে ফেলা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বলেন, “ঢাকায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙচুর করার পরে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, যে কোনো সময় রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে এই (জুনাইদ আহমেদ পলকের) বাড়িটি ভাঙা হতে পারে। এজন্য ওটা (ব্যানার) দিয়েছি, যাতে রক্ষা পায় বাড়িটি।”
ব্যানারটি খুলে ফেলার কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, “আমরা শুধুমাত্র জানান দিলাম, আমরা আছি এখানে।”
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ওই দিন বিকেলেই সিংড়ার গোডাউনপাড়াস্থ পলকের তিন তলা বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ দ পলক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে সমস্যা বোধ করছি না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলছেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ট্রান্সশিপমেন্ট গতকাল মঙ্গলবার বাতিল করেছে ভারত।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, “এটা (ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল) আমাদের ওপর হঠাৎ করে আরোপিত হয়েছে। সাথে সাথেই আমাদের সব অংশীজন নিয়ে গতকাল আমি মিটিং করেছি। এটাতে আমরা কোনো সমস্যা বোধ করছি না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা, প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় যাতে কোনো ঘাটতি না হয় এবং আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি না পড়ে, সেক্ষেত্রে আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি আশা করি, এটা আমরা উতরে যাব।”
কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমি এই মুহূর্তে আপনার সঙ্গে শেয়ার করব না। প্রতিযোগিতায় আমাদের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু খরচের দিক থেকে—সব জিনিস সমন্বয় করে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না।”
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল বিষয়ে আপনারা ভারতকে কোনো চিঠি দেবেন কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে বিবেচনা করছি না।”
ভারতের দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমাদের এখান থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের মতো ম্যাটেরিয়াল সড়ক পথে এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন বন্দর বিশেষ করে দিল্লি, কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হতো। আমরা আশা করি, এই ম্যাটেরিয়ালগুলো বহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করব। সাধারণত ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে পণ্যগুলো যেত।”
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ভেরি গুড। আমাদের বাণিজ্যের মধ্যে স্থিরতা দেখা দেবে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে অনলাইনে। আমরা আমাদের কর্মসমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে করণীয় আছে। তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায়নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু করতে পারব, সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
তিনি বলেন, “মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে সমন্বয় করা যায়। আমরা সে লক্ষ্য অর্জনেই কাজ করছি।”
ঢাকা/হাসনাত/রফিক