নিজের স্বপ্নকে কখনো ছোট মনে করো না: সালেহা বেগম
Published: 7th, March 2025 GMT
ব্যবসাখাতে সালেহা বেগমের পদচারণা আজকের নয়, আড়াই দশক আগের। ২৫ বছর ধরে নিজের প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তিনি। ব্যবসায়ী হিসেবে সততা ও অধ্যাবসায় তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসার পাশাপাশি দক্ষতার সঙ্গে নিজের পরিবারও পরিচালনা করেন তিনি।
ব্যবসায়ী জীবনের দীর্ঘ পথচলায় উল্লেখযোগ্য সফলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সালেহা বেগম বলেন, ‘ব্যবসায়ীক উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছি, এটাই আমার বড় এক পাওয়া। আমার ব্যবসায় কাজ করেছেন এক হাজার থেকে ১২শ’ মানুষ। আর এখন প্রতিমাসে ১৩০ থেকে ১৫০ জনের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে এখান থেকে।’
সালেহা বেগম মনে করেন, একটি ব্যবসা পরিচালনা মানে শুধু মুনাফা নয়, বরং এটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার একটি মাধ্যম। অভিজ্ঞ কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং আস্থা ও একাগ্রতার পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শত শত পরিবারে এনে দিয়েছে স্বচ্ছলতা, উন্নতির সম্ভাবনা। এই লম্বা যাত্রায় তিনি বুঝতে পেরেছেন, অন্যের অগ্রযাত্রায় সহায়তার মাঝেই নিহিত প্রকৃত সাফল্য। আর সেই পরিবর্তনের অংশ হওয়াটা মূল্যবান এক অর্জন।
সালেহা বেগম বলেন, ‘নেতৃত্বের সংজ্ঞা হলো সততা, একনিষ্ঠতা ও অন্যের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা।’ ২৫ বছর পার করে এগিয়ে যাচ্ছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহা বেগম বলেন, ‘আগামীর উদ্যোক্তারা সততা, দৃঢ়তা এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন, যেখানে তৈরি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ, সমাজের উন্নতি ঘটবে এবং সেই উন্নতি হবে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড ‘এক্সেলারেট অ্যাকশন- এম্পাওয়ার্ড ওমেন, এম্পাওয়ারিং দ্যা ফিউচার’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্মরণ করছে সালেহা বেগমের একাগ্রতাকে। সালেহা বেগম ইউনিলিভারের একজন ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন।
নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নিজের স্বপ্নকে কখনো ছোট মনে করো না। পরিশ্রম, সততা ও আত্মবিশ্বাস তোমাকে নিয়ে যাবে সাফল্যের চূড়ায়। শুধু নারীদের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্যই অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলো। নির্ভয়ে পথ চলো, তোমার যাত্রাই অন্যকে সাহস যোগাবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্
দেখতে দেখতে শেষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫। আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামবে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টের। আজ রোববার (০৮ মার্চ, ২০২৫) বিকেলে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউ জিল্যান্ড। তার আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের সামগ্রিক পারফরম্যান্স কেমন।
:: ভারতের রেকর্ড ::
আইসিসি নকআউট ট্রফি-২০০০:
পারফরম্যান্স: রানার্স-আপ। ভারত ফাইনালে পৌঁছালেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়।
আরো পড়ুন:
ভারতীয় ড্রেসিংরুমে রোহিতের অবসর নিয়ে ‘আলোচনা নেই’
নিউ জিল্যান্ডের প্রেরণা নাইরোবির স্মৃতি
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০২:
পারফরম্যান্স: যৌথ চ্যাম্পিয়ন (শ্রীলঙ্কার সঙ্গে)। ফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হয় এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৪:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৬:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৩:
পারফরম্যান্স: চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ভারত। সেমিফাইনালে ভারত শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে আসে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৭:
পারফরম্যান্স: রানার-আপ। ভারত ফাইনালে পৌঁছালেও পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়।
:: নিউ জিল্যান্ডের রেকর্ড ::
আইসিসি নকআউট ট্রফি-২০০০:
পারফরম্যান্স: ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতে নেয় নিউ জিল্যান্ড।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০২:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৪:
পারফরম্যান্স: সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয় নিউ জিল্যান্ড।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০০৬:
পারফরম্যান্স: রানার-আপ। নিউ জিল্যান্ড ফাইনালে পৌঁছালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৩:
পারফরম্যান্স: গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় (নকআউট পর্বে পৌঁছাতে ব্যর্থ)
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০১৭:
পারফরম্যান্স: সেমিফাইনাল। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয়।
সারসংক্ষেপ:
ভারত একাধিকবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নকআউট পর্বে পৌঁছেছে এবং ২০১৩ সালে একবার শিরোপা জিতেছে।
নিউ জিল্যান্ডও একাধিকবার নকআউট পর্বে খেলেছে, তবে তারা কখনও ট্রফি জিততে পারেনি। তাদের সেরা ফলাফল ছিল ২০০৬ সালে রানার-আপ হওয়া এবং বিভিন্ন আসরে সেমিফাইনাল খেলা। উল্লেখ্য, ২০০০ সালে তারা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। তবে তখন এটার নাম ছিল আইসিসি নকআউট ট্রফি।
ঢাকা/আমিনুল/নাভিদ