ব্যবসাখাতে সালেহা বেগমের পদচারণা আজকের নয়, আড়াই দশক আগের। ২৫ বছর ধরে নিজের প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তিনি। ব্যবসায়ী হিসেবে সততা ও অধ্যাবসায় তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসার পাশাপাশি দক্ষতার সঙ্গে নিজের পরিবারও পরিচালনা করেন তিনি। 

ব্যবসায়ী জীবনের দীর্ঘ পথচলায় উল্লেখযোগ্য সফলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে সালেহা বেগম বলেন, ‘ব্যবসায়ীক উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে এসেছি, এটাই আমার বড় এক পাওয়া। আমার ব্যবসায় কাজ করেছেন এক হাজার থেকে ১২শ’ মানুষ। আর এখন প্রতিমাসে ১৩০ থেকে ১৫০ জনের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে এখান থেকে।’ 

সালেহা বেগম মনে করেন, একটি ব্যবসা পরিচালনা মানে শুধু মুনাফা নয়, বরং এটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার একটি মাধ্যম। অভিজ্ঞ কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং আস্থা ও একাগ্রতার পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শত শত পরিবারে এনে দিয়েছে স্বচ্ছলতা, উন্নতির সম্ভাবনা। এই লম্বা যাত্রায় তিনি বুঝতে পেরেছেন, অন্যের অগ্রযাত্রায় সহায়তার মাঝেই নিহিত প্রকৃত সাফল্য। আর সেই পরিবর্তনের অংশ হওয়াটা মূল্যবান এক অর্জন। 

সালেহা বেগম বলেন, ‘নেতৃত্বের সংজ্ঞা হলো সততা, একনিষ্ঠতা ও অন্যের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা।’ ২৫ বছর পার করে এগিয়ে যাচ্ছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহা বেগম বলেন, ‘আগামীর উদ্যোক্তারা সততা, দৃঢ়তা এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন, যেখানে তৈরি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ, সমাজের উন্নতি ঘটবে এবং সেই উন্নতি হবে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী।’ 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড ‘এক্সেলারেট অ্যাকশন- এম্পাওয়ার্ড ওমেন, এম্পাওয়ারিং দ্যা ফিউচার’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্মরণ করছে সালেহা বেগমের একাগ্রতাকে। সালেহা বেগম ইউনিলিভারের একজন ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। 

নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নিজের স্বপ্নকে কখনো ছোট মনে করো না। পরিশ্রম, সততা ও আত্মবিশ্বাস তোমাকে নিয়ে যাবে সাফল্যের চূড়ায়। শুধু নারীদের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্যই অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলো। নির্ভয়ে পথ চলো, তোমার যাত্রাই অন্যকে সাহস যোগাবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন ল ভ র ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আরাকান আর্মি সম্মত: ড. খলিলুর

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আরাকান আর্মি সম্মত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, ঈদের আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। 

ড. খলিলুর বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সময় বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি দরকার। তাই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ। উভয় পক্ষকে এক টেবিলে বসাতে কাজ করছে জাতিসংঘ।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিমসটেক সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী দুই বছর বিমসটেক সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যোগসূত্র তৈরি এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ। এতে শুধু সমুদ্রতীরের দেশ নয়, আরও অনেক দেশ উপকৃত হবে। 

সাইডলাইনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক প্রসঙ্গে ড. খলিলুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানালে মোদি জানান, ব্যক্তি বা দল নয়, বরং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক হবে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের।

গত সোমবার ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি বলেন, যখনই অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করতে চেয়েছে, তখনই ভালো কাজগুলো লাইনচ্যুত করার চেষ্টা দেখা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ