চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকদারকে নিজ দলের নেতা-কর্মীরা পিটিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্টহাউসের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।

শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল মিয়া ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজীবের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন নৌশাদকে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে মিঠামইন বাজারে শিকদার গেস্টহাউসের নিচতলায় নৌশাদ শিকদারকে দেখেই লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন টুটুল ও সজীবের নেতৃত্বে থাকা ১০ থেকে ১২ জন। পরে লোকজন আহত নৌশাদকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে টুটুল মিয়া বলেন, নৌশাদকে তাঁরা পিটিয়েছেন। কারণ, তাঁর বংশের এক ব্যক্তির দোকান প্রায় এক মাস আগে জোর করে বন্ধ করে দেন নৌশাদ। দোকান চালু করতে হলে নৌশাদকে নাকি এক লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হবে।

এ ব্যাপারে নৌশাদ শিকদার বলেন, ‘তারা কী কারণে আমাকে মারধর করল, তা আমি কিছুই জানি না। আমি কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জন মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাকে পেটানো শুরু করে দেয়। আমি এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব।’

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘ঘটনার ভিডিও দেখেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু শোনেননি। তাঁর কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ঠ মইন

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৭ কিলোমিটারজুড়ে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বলদাখাল থেকে বুড়িচং উপজেলার নিমশা পর্যন্ত প্রায় ৩৭ কিলোমিটারজুড়ে থেমে থেমে যানজট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।

আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে চান্দিনার নূরতলা এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি লরি ও একটি ট্রাক এবং ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার যারজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশ রেকার এনে দুর্ঘটনাকবলিত যানগুলো দ্রুত সরিয়ে নিলে পুনরায় চলাচল শুরু হয়। তবে যান চলাচল শুরুর পর কিছু চালক উল্টো পথে গাড়ি চালাতে থাকেন, এতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। সংবাদটি লেখার সময় ( দুপুর ১২ টা) পর্যন্ত ধীরগতিতে চলছিল যানবাহন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা দিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মানুষ ঢাকায় যান। একসঙ্গে অসংখ্য যানবাহন পারাপারের কারণে টোল প্লাজায় যানজট তৈরি হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় দাউদকান্দির স্বল্পপেন্নাই এলাকায় কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালক খোরশেদ আলম বলেন, ‘সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কুমিল্লা বিশ্বরোড থেকে রওনা দিই। নিমশা এলাকায় এসে যানজটে পড়ি। এক ঘণ্টার পথ তিন ঘণ্টায় অতিক্রম করতে হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যানচালক ওবায়দুল হক ও দাউদকান্দিগামী পাপিয়া পরিবহনের চালক সামসুল আলমও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান।’

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ