কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল বিএসইসি
Published: 7th, March 2025 GMT
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) গতকাল বৃহস্পতিবারও অচলাবস্থা ছিল। সংস্থাটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কার্যালয়ে গেলেও পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কর্মবিরতি পালন করেন। যে কারণে এদিন সংস্থাটিতে কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় অচলাবস্থা থাকলেও গতকাল শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ও সূচক দুটোই আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। ঢাকার বাজারে এদিন ৩৫৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৫ কোটি টাকা বেশি। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট বেড়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করলেও এদিন বেলা তিনটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় কার্যালয়ে আসেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনার। তবে এদিন দৈনন্দিন কোনো কাজ হয়নি কমিশনে। চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা কার্যালয়ে ফিরলেও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়নি। রমজানে অফিস সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনটার পর বেশির ভাগ কর্মকর্তা–কর্মচারী কার্যালয় ত্যাগ করেন। তার আগে আন্দোলনকারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবি পুনরায় উত্থাপন করেন। অন্যদিকে কার্যালয়ে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনার ফারজানা লালারুখ।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার চার দফা দাবিতে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে চার ঘণ্টা কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখেন সংস্থাটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এ সময় তাঁরা বিএসইসি ভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগ ও সিসিটিভি বন্ধ করে দেন। পরে সেনা হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে কার্যালয় ত্যাগ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার। ওই দিনই সংস্থাটির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পুরো কমিশনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ে গেলেও দাপ্তরিক কোনো কাজ করেননি। তাঁদের একটি অংশ বিএসইসি কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় মাল্টিপারপাস হলে অবস্থান নেন। আর নির্বাহী পরিচালকেরা নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করেন। অন্যদিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিএসইসি ভবনের পঞ্চম তলায় অবস্থিত চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ফ্লোরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছিল সুনসান নীরবতা। তিনটার পর চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার কার্যালয়ে ফিরলে সে ফ্লোরে সাংবাদিকেরা সেখানে ছুটে যান।
সরকার আমাদের একটি মিশন দিয়ে এখানে পাঠিয়েছে। সেই মিশন থেকে আমরা একচুল পরিমাণ সরব না। কোনো ধরনের অন্যায় দাবির কাছে আমরা মাথা নত করব না। আমরা আমাদের কাজ নিয়মনীতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাবখন্দকার রাশেদ মাকসুদ, চেয়ারম্যান, বিএসইসি।কার্যালয়ে ফিরে বিএসইসির চেয়ারম্যান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার আমাদের একটি মিশন দিয়ে এখানে পাঠিয়েছে। সেই মিশন থেকে আমরা একচুল পরিমাণ সরব না। কোনো ধরনের অন্যায় দাবির কাছে আমরা মাথা নত করব না। আমরা আমাদের কাজ নিয়মনীতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাব।’ এ সময় তিন কমিশনারও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়ে নিয়মনীতি মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২টি কোম্পানির অনিয়মের তদন্তে গঠিত কমিটি ৭টির বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এর মধ্যে তিনটির বিষয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট শেষে সব তদন্ত প্রতিবেদন বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে গত বুধবার দিনভর বিএসইসিতে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। বিএসইসির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার এদিন সচিবালয়ে গিয়ে সচিবের কাছে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনকে তাদের কার্যক্রম জোরালোভাবে চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন
বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান কমিশনের পদত্যাগ, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী ডেকে এনে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের লাঠিচার্জ করার ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার হিসেবে অভিজ্ঞ ও যোগ্য লোক নিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ, কমিশনকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব মোল্যা মো.
চেয়ারম্যানসহ কমিশন পদত্যাগ না করলে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা তাঁদের ঘোষিত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন কি না, এ প্রশ্নের সুষ্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়নি সংবাদ সম্মেলনে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বলা হয়, ‘আমরা কার্যালয়ে আছি। প্রয়োজনীয় কাজও করছি। ভবিষ্যতে কী হবে, এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’ অ্যাসোসিয়েশেনর এই বক্তব্যের পর রোববার থেকেও কর্মবিরতি চলবে কি না, এ বিষয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। কর্মীরাও সুস্পষ্ট করে কোনো কিছু বলতে পারছেন না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর মকর ত র পদত য গ অন য য় দ র এক আম দ র অবস থ এ সময় সরক র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিলভা ফার্মার আর্থিক সক্ষমতা খতিয়ে দেখবে বিএসইসি
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পাঁচ বছরের সম্পদ, ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও আর্থিক সক্ষমতা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ লক্ষ্যে ১৫টি শর্ত নির্ধারণ করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়টি সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সূচকের পতন, কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম
টেলিস্যাটের সঙ্গে এডিএন টেলিকমের চুক্তি
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. মাওদুদ মোমেন, সহকারী পরিচালক তন্ময় কুমার ঘোষ এবং মো. মারুফ হাসান।
বিএসইসির তদন্তের আদেশ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে করে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বিষয়গুলোর তদন্ত পরিচালনা করা প্রয়োজন। গত পাঁচ বছরের সম্পদ, আর্থিক সক্ষমতা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নং XVII) এর সেকশন ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন আলোচ্য বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। উক্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিএসইসির তিনজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো। তদন্ত কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন এবং কমিশনে একটি প্রতিবেদন দাখির করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি
২০২০ সালের ৩০ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৫ বছরের সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা। সম্পদের ভারসম্য যাচাই এবং তথ্য অনুযায়ী তা নিশ্চিত করা (ভূমি ও জমির উন্নয়ন, ভবন, ভবন সজ্জা, উদ্ভিদ ও যন্ত্রপাতি, সমস্ত সরঞ্জাম, মূলধনের কাজ চলছে, বাণিজ্য এবং অন্যান্য প্রাপ্য, তালিকা, সমস্ত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, নগদ এবং নগদ সমতুল্য ইত্যাদি)।
মূলধন ও দায়ের ভারসম্য যাচাই এবং তথ্য অনুযায়ী তা নিশ্চিত করা (ভূমি ও জমির উন্নয়ন, ভবন, ভবন সজ্জা, উদ্ভিদ ও যন্ত্রপাতি, সমস্ত সরঞ্জাম, মূলধনের কাজ চলছে, বাণিজ্য এবং অন্যান্য প্রাপ্য, তালিকা, সমস্ত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, নগদ এবং নগদ সমতুল্য ইত্যাদি)। আইপিওর আগে মূলধন সংগ্রহ এবং প্রাক-আইপিও পরিশোধিত মূলধনের ব্যবহার নিরীক্ষা করা।
প্রসপেক্টাসে প্রকাশ করা (প্রাক-আইপিও সম্পদের মালিকানা জমি, বিল্ডিং, গাছপালা এবং যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) এবং প্রকৃত দখলে আছে কি-না সে তথ্য তথ্য নিরীক্ষা করা। আর্থিক প্রতিবেদনে নগদ অর্থের প্রবাহ যাচাই করা।
ব্যাংক ব্যালেন্স, বিক্রিত পণ্যের মূল্য, আয় এবং ব্যয় ইত্যাদির নিশ্চিতকরণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ বিক্রয় থেকে আয় যাচাই করা। কাঁচামাল সংগ্রহ প্রক্রিয়া এবং কাঁচামালের ব্যবহার যাচাই করা।
সরবরাহকারীদের সাথে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে প্রদেয় কাঁচামালের কোনো মিথ্যা/অতিরিক্ত ক্রয় এবং সরবরাহকারী বা সংশ্লিষ্ট ক্লায়েন্টকে অতিরিক্ত/মিথ্যা পেমেন্ট আছে কিনা তা পর্যালোচনা করা এবং সমস্ত এলসি পরীক্ষা করা। বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল মজুত থাকা সত্ত্বেও কাঁচামাল ক্রয়ের ন্যায্যতা যাচাই করা।
২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত বছরের জন্য কর্মীদের নিয়োগপত্র এবং উপস্থিতি পত্র বিবেচনা করে সমস্ত বেতন/মজুরি/ভাতার বিপরীতে অর্থ প্রদান যাচাই করা। অ্যাকাউন্টিং নীতি, আর্থিক প্রতিবেদন এবং প্রকাশিত তথ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএএস), ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএফআরএস) এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অন অডিটিং (আইএসএ) অনুসারে করা হয়েছে কিনা তা যাচাই ও নিশ্চিত করা।
সম্পর্কিত পক্ষের লেনদেন এবং তার প্রকাশিত তথ্য যাচাই করা। ২০২০ সালের ৩০ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত বছরের জন্য স্ট্যাটুটরি অডিটরদের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় তদন্ত করা।
আইপিওর অর্থ ব্যবহারে অক্ষমতা
তালিকাভুক্তির পর থেকে বিগত ৬ বছরেও আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করতে পারেনি। এরই মধ্যে আইপিওর অর্থ ব্যবহারে কোম্পানিটি ৫ দফা সময় বাড়িয়েছে। তবুও ওই অর্থ ব্যয় করতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি। এবার কোম্পানির বিরুদ্ধে আইপিওর অর্থ ব্যয়ে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে আইপিওর অর্থ ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিরীক্ষা করেছে পিনাকী অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস আইন লঙ্ঘনের তথ্য জানিয়েছে।
আর্থিক অবস্থা
২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নামমাত্র ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.৪৭) টাকা। আগের হিসাববছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.২৪) টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬.৫৩ টাকা।
সর্বশেষ চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর,২০২৪) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.১৯) টাকা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.০৬) টাকা। অন্যদিকে, অর্ধবার্ষিক বা ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.৪৩) টাকা। গত হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.১২) টাকা। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৬.০২ টাকা।
ব্যবসায়িক অবস্থা
সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি হয় ২০১৮ সালে। ‘বি’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ৬৫ লাখ। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে ৪৫.২১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৫.৭৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.০১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির স্বল্প মেয়াদি ঋণ রয়েছে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।
ঢাকা/এসবি