বার কাউন্সিল ও বিজেএস পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে জবিতে মানববন্ধন
Published: 7th, March 2025 GMT
বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষা ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার ফি কমানো এবং বিজেএসে নন-ক্যাডার পদ চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে আইন অনুষদের দুই বিভাগের (আইন বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগে) শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং বিজেএস পরীক্ষার ১ হাজার ২০০ টাকা ‘ফি’ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয় এমন অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি ও খণ্ডকালীন চাকরির মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ চালান। এ ধরনের ‘উচ্চ ফি’ তাদের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। এটি আইন পেশায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া, বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য বিসিএস পরীক্ষার মতো নন-ক্যাডার পদের সুযোগ চালুরও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নিপা রাণী বলেন, ‘আমাদের অনেক শিক্ষার্থী টিউশন বা পার্ট-টাইম (খণ্ডকালীন) চাকরির মাধ্যমে নিজেদের খরচ চালান। সাড়ে চার হাজার টাকা ফি দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া আমাদের জন্য কঠিন। এই বৈষম্যমূলক ফি দ্রুত কমিয়ে ২০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার মতো বিজেএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া নন-ক্যাডার পদের মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রার, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য আইনি সংস্থায় নিয়োগের সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বার কাউন্সিলের পরীক্ষা ও বিজেএস পরীক্ষার ফি অবশ্যই কমাতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষা বর্জনের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনবার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা করার দাবি রাবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের১৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ফ আইন ব ভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
সোনারগাঁও উপজেলা সাদিপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুরা এলাকায় কাজীপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে একঅবৈধ ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় এলাকাবাসীরা জানান বন্দর উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার ব্যাটারি ব্যবসায়ী আলমগীরের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে এই অবৈধ ব্যাটারি কারখানা।
ব্যাটারি কারখানার কারণে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে সিসার বিষ। গবাদি পশু জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ পরেছে সংকটে। ব্যাটারি কারখানার শিসা ধুষনে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে নানান রোগব্যাধি।
বিষ্ণুপুরা,কাজহরদী,টালটেকি,কাজি পাড়া,কাইনলী ভিটা, শ্রীরামপুর সহ আশেপাশের এলাকার লোকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চোখের অসুখ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট সহ মরণব্যাধি নানা রোগ বালাই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে জমিতে ফসল হচ্ছে না গাছে ফল ধরছে না এবং পুকুরে মাছ বাঁচতে পারছে না।
এ সময় তারা পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে ভিক্ষুক মিছিল নিয়ে বিষ্ণুপুরা হয়ে কাজহরদী গিয়ে শেষ করেন।