নর্থ সাউথের সামনে মারামারির ঘটনায় ছাত্রদলের তদন্ত কমিটি
Published: 7th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতি ঘিরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মারামারির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ওই ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলেন এমন অভিযোগ ওঠার পর কমিটি গঠনের কথা জানানো হলো।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো.
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের নির্দেশনায় এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, সারজিস আলম বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যান। তিনি ঘণ্টা তিনেক ধরে ওই এলাকার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ খানেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আড্ডা দেন। রাত ১০টার পর প্রায় ১৫ জন তরুণ হঠাৎ অন্য পাশ থেকে সারজিসকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সারজিসের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে দুই পক্ষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। সারজিসও এগিয়ে গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সারজিস গাড়িতে উঠে সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর দুই পক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হন। মো. মুশতাক তাহমিদ নামের এমবিএর ওই শিক্ষার্থীর পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। সেখানে ১৩টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
হামলার জন্য মুশতাক তাহমিদ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা পরিচয়ধারী আহমেদ শাকিল ও তাঁর সহযোগী মাসরুরকে দায়ী করেছেন। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণ এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনার পর ওই দিন গভীর রাতে ভাটারা থানায় আহমেদ শাকিল ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ওই রাতেই থানায় পাল্টা অভিযোগ দেয় অপর পক্ষ। তবে কোনো পক্ষের অভিযোগকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন‘১৩ সেলাই লেগেছে’ নর্থ সাউথের এক ছাত্রের, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি৭ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনবসুন্ধরা এলাকার ঘটনা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম০৫ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র তদন ত র ঘটন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদ মালিক সমিতির
সারাদেশে ইটভাটাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রশাসনের জরিমানা আদায় ও ভাঙচুর করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি জয়পুরহাট সদর উপজেলা শাখা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের আমতলী এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ইটভাটার মালিকরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির জয়পুরহাট জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি বেলায়েত হোসেন লেবু, সহসভাপতি আবু রায়হান উজ্জ্বল প্রধান, জয়পুরহাট সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাসুদ রানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইটভাটা মালিকরা কাস্টমস, ভ্যাট, আয়কর, বাণিজ্যিক হারে জমির খাজনা, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ বেশ কিছু লাইসেন্স বাবদ প্রতিবছর সরকারকে রাজস্ব দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া ইটভাটা পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যাংক ঋণ ছাড়াও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ঋণ করেছেন। শ্রমিকদের অগ্রিম বেতন বাবদ টাকা ছয় মাস আগে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ইটভাটাগুলো বন্ধ করলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন মালিক ও শ্রমিকরা। ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মোটা অঙ্কের জরিমানা, ভাঙচুর বন্ধ না করলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
সমাবেশ শেষে জয়পুরহাট সদর ইউএনও রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতারা।