রোজায় গ্যাসের সমস্যা এড়াতে খাবারের বেলায় যেসব নিয়ম মানবেন
Published: 7th, March 2025 GMT
প্রথমে পানি পানের দিকে খেয়াল রাখুন। ইফতারের পর অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করুন। সম্ভব হলে ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় পান না করাই ভালো। চা বা কফি পান করলে বারবার প্রস্রাব হওয়ার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা হয়। এ ছাড়া অ্যাসিডিটি হওয়ারও এটি একটি কারণ। খাবার গ্রহণের ১ ঘণ্টা আগে ও পরে পানি পান করলে গলায় জ্বালাপোড়া বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্সের সমস্যা কমবে। তাই সাহ্রির সময় ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করে নেবেন। আর ফজরের আজানের কিছুক্ষণ আগে সাহ্রি করবেন। সাহ্রি খেয়েই ঢকঢক করে বেশি পানি পান করবেন না।
আরও পড়ুনরমজান মাসে পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন০৪ মার্চ ২০২৫ইফতারে বেগুনি বা পেঁয়াজু খেতে ইচ্ছে হলে একটা বা দুইটার বেশি না খাওয়াই ভালো। ছোলা ভিজিয়ে রেখে কাঁচা বা সেদ্ধ করে খান। খাবারের আইটেম কম রাখুন। তবে স্বাস্থ্যকর যেন হয় সেটা নিশ্চিত করুন।
ইফতারে ফল, ফলের শরবত (লেবু, আনারস বা বেল) রাখুন। খাবারের তালিকায় ফ্রুট বা সবজির সালাদ, যেকোনো একটি রাখুন। এ ছাড়া পাউরুটি টোস্ট করে ডিমসেদ্ধ দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিতে পারেন। বাড়িতেই চিকেন স্যুপ, চিকেন ফ্রাই তৈরি করে নিন। ছোট–বড় সবাই পছন্দ করবে। ইফতার বা সাহ্রিতে দই-চিড়া ও ফল খুবই উপকারী ও উপাদেয় খাবার।
আরও পড়ুনরোজায় ইফতারে কী কী খাবেন০১ মার্চ ২০২৫রাতের খাবার ও সাহ্রিতে তরকারিতে তেল ও ঝাল কম দিন। অনেকেই রাতের খাবার খেতে চান না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিক রোগী, যাঁরা ইনসুলিন নিচ্ছেন বা গ্লিক্লাজাইড/গ্লিমেপেরাইডজাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের ইফতার, সন্ধ্যারাতের খাবার ও সাহ্রি কোনোটাই বাদ দেওয়া যাবে না।
ডা.
রোজানা রউফ, কনসালট্যান্ট, ইউনিকো হসপিটাল
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রোজা রেখে পর্যাপ্ত না ঘুমালে কী হয়
ঘুম কেন জরুরি
ঘুম আমাদের মেটাবলিজম সিস্টেম আর ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। জীবনে স্থিতি দেয়। ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়। লং আর শর্ট টার্ম মেমোরি গুছিয়ে রাখে। স্মৃতিশক্তি গুছিয়ে জড়ো করে রাখে। শারীরিক, মানসিক ও মস্তিষ্কের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য জীবনের মোট সময়ের তিন ভাগের এক ভাগ ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। আট ঘণ্টা ঘুম মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে সবচেয়ে ভালো রাখে। আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি, তখন এমন কিছু কার্যক্রম চালু হয়, যেগুলো জীবনের জন্য খুবই জরুরি। শরীর ও মনের ঠিকভাবে ফাংশনের জন্য, ‘কোয়ালিটি লাইফ’–এর জন্য প্রতিদিন তাই আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
আরও পড়ুনরমজান মাসে কোন সময় চিয়া সিড খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন০২ মার্চ ২০২৫কে কতক্ষণ ঘুমাবেসাধারণভাবে বলা হয় আট ঘণ্টা। তবে বয়সভেদে এটা আবার কমবেশি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র অনুযায়ী, ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে কারও কারও নিয়মিত ৭ ঘণ্টা ঘুম হলেই চলে। চল্লিশোর্ধ্ব অনেকে আবার ছয় ঘণ্টা ঘুমিয়েও দিব্যি চলতে পারেন। তবে এর কম ঘুম হলে সেটা উদ্বেগজনক, ক্ষতিকর।
আরও পড়ুনরমজান মাসে পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন০৪ মার্চ ২০২৫রোজা রেখে পর্যাপ্ত না ঘুমালে কী হয়রমজানে তারাবিহর নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতে আলাদা সময় দেওয়া হয়। শেষ রাতে ঝটপট উঠে যাওয়ার তাড়াও থাকে। সব মিলিয়ে ঘুমের সময়টা কমে যায়। ঘুম ঠিক রাখতে আনুষঙ্গিক কাজকর্ম কমিয়ে আনুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কম সময় ব্যয় করুন। পারলে দিনেও খানিকটা ঘুমিয়ে নিন। এতে ক্লান্তি ভাব কমে আসবে।
ঘুমের অভাবে হার্ট অ্যাটাক, হার্টের অসুখ, অনিয়মিত হার্টবিট, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হতে পারে। ঘুম কম হলে কার্টিসল নামের একটা হরমোন নিঃসরণ হয়। এটা ত্বকের কোলাজেন ভেঙে ফেলে। যাঁরা দিনে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাঁদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি থাকে। কম ঘুমানোর সঙ্গে অবসাদগ্রস্ততার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফেলা, ভুলে যাওয়া রোগ, ইনসোমনিয়া, হ্যালুসিনেশনসহ নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।
সূত্র: ওয়েব এমডি
আরও পড়ুনরোজা রেখেও কাদের ওজন কমে না০৫ মার্চ ২০২৫