গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৮৬তম বৈঠক  শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি হোটেলে বৈঠকে বসে দুই দেশের যৌথ কমিটির প্রতিনিধি দল।

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা পানি কম পাওয়ার কারণে কী কী সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। পানি কম পেলে কীভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সেচ কার্যক্রম ও জীববৈচিত্র্য সংকটে পড়ে এবং সুন্দরবন অঞ্চলে সমস্যা দেখা দেয়– এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা মোহাম্মদ আবুল হোসেন পানি বণ্টন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান। তবে প্রবাহ কম থাকার কারণে দুই দেশই পানি কম পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় যৌথ নদী কমিশনের টেকনিক্যাল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে নদীর পানি-সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের পাশাপাশি, বন্যার প্রতিবেদন, সীমান্ত নদীগুলোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের পরিকল্পনা-সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় সিদ্ধান্ত আলোচিত হবে বলে জানা গেছে।

গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে অংশ নেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিদরী জাহান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, কমিশন সদস্য (কারিগরি কমিটি) মোহাম্মদ আবুল হোসেন প্রমুখ। ভারতের পক্ষে ছিলেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ও জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শরত চন্দ্র, ফারাক্কা ব্যারাজের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশপান্ডে প্রমুখ।

গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সই হয় ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ ম হ ম মদ য থ নদ

এছাড়াও পড়ুন:

বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস করছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভ্যালেরি জালুঝনি। যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে জালুঝনি ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি যেভাবে পরিচালনা করছেন, তার সমালোচনা করে জালুঝনি বলেন, হোয়াইট হাউস ‘পুরা পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থার ঐক্যকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন’।

বৃহস্পতিবার লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক সম্মেলনে জালুঝনি এসব কথা বলেন। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। গত কয়েক দিনে ট্রাম্প-জেলেনস্কির এই উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়ে এসেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক এমন সময় জালুঝনি এসব মন্তব্য করলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে) ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হোয়াইট হাউসে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ