সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরে আসেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এসময় তিনি তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অব দ্যা সেক্রেটারি (এসআরএসজি) ভ্যালেন্টিন রুগওয়াবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামফ্রে নিয়নের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক আর্মড ফোর্সেসের (এফসিএ) প্রধান জেনারেল মামাদৌ জেফিরিনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। 

এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফাউস্টিন-আরচ্যাঞ্জ তুয়াদেরা-এর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়। সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে গিয়েছিলেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৭ দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ৪২৭

ঢাকাসহ সারা দেশে যৌথ অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে (গত ২৭ ফেব্রুয়ারি-৫ মার্চ পর্যন্ত) বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের স্বার্থে তৈরি বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, মুঠোফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমালসহ সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী।

যৌথ বাহিনীটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত।  

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্যতেল ও নকল ফলের জুসের কারখানাসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালাসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।    

আটক ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ মানুষকে সন্দেহজনক কোনো কার্যকলাপ চোখে পড়লে কাছের সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৭ দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ৪২৭