পাটপণ্য রপ্তানি দ্বিগুণ করতে নীতিসহায়তা দিচ্ছে সরকার
Published: 6th, March 2025 GMT
বাণিজ্য এবং পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, পাট রপ্তানি কমছে, যা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে পাটপণ্যের রপ্তানি বর্তমানের দ্বিগুণ করার বিষয়ে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়ে এগিয়ে আসতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রস্তুত।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মণিপুরীপাড়ায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন উপদেষ্টা। জাতীয় পাট দিবস উদযাপন উপলক্ষে পাট মন্ত্রণালয় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। পাঁচ দিনের এ আয়োজন আগামী মঙ্গলবার শেষ হবে। আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে ১৫ দিনের তাঁতবস্ত্র মেলা।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, পাটের বীজ, সার, পাট পচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, গুণগত মান উন্নয়নে সহায়তার জন্য ৩৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এ ছাড়া পাটশিল্পের সহায়তার বিভিন্ন প্রণোদনামূলক কার্যক্রম ও নীতি সহায়তা বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। জেপিডিসির মাধ্যমে এক হাজারের বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। সরকার তাদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, কভিড-পরবর্তী পাটজাত শিল্পপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছিল। তখন রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। কিন্তু কাঁচাপাটের বাজারে একটা অনিয়ন্ত্রিত মূল্য সৃষ্টি হলো, দুই হাজার টাকার পাট সাত হাজার টাকা হয়ে গেল। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে সরে যেতে শুরু করেন। এতে শিল্পোদ্যোক্তারা গত দুই-তিন বছর ধরে সমস্যায় পড়েছেন। এ অবস্থা থেকে তাদের পরিত্রাণ দরকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনালী ব্যাংকের সাবেক ৭ কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
সোনালী ব্যাংকের ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাবেক সাত কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেন গতকাল সোমবার এ রায় দেন। এদের সাতজনকে ৩ এবং চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আনুপাতিক হারে পরিশোধ করতে হবে জরিমানার ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পলাতক আসামিদের সাজা তাদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে। দণ্ডপ্রাপ্তদের থেকে আত্মসাৎ করা টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
৩ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, সাবেক ডিএমডি মঈনুল হক, সাবেক জিএম ননীগোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, সাবেক ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান। ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– খানজাহান আলী সোয়েটারের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মোল্লা, এমদাদুল হক শেখ এবং পরিচালক মীর মোহাম্মদ শওকত আলী ও রফিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন মঈনুল হক, মীর মহিদুর, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেন খান। বাকি সাতজন পলাতক।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।